রেমডেসিভির প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রুগীদের মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে পারে না। শুধু মৃত্যু ঝুঁকি যে কমাতে পারে না তাই নয়, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গিলিয়াড সায়েন্সেসের তৈরি রেমডেসিভির নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পরে স্পষ্ট জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছে রেমডেসিভিরের প্রস্তুতকারক গিলিয়াড সায়েন্সেসের শীর্ষ কর্তারা।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনার তাণ্ডব শুরু হওয়ার পরে কোনও প্রতিষেধক না থাকায় বিকল্প প্রতিষেধক হিসেব মার্কিন মুলুক সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ম্যালেরিয়া নিরোধী হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের পাশাপাশি রেমডেসিভিরের ব্যবহার শুরু হয়।
রেমডেসিভিরের প্রস্তুতকারী সংস্থা গিলিয়াড সায়েন্সেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সংস্থার তৈরি ওষুধ করোনা আক্রান্তদের শুধু মৃত্যু ঝুঁকি কমাচ্ছে না, দ্রুত সুস্থ করেও চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১,০৬৩ জন করোনা আক্রান্তের উপরে গবেষণা চালানো হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রেমডেসিভির গ্রহণকারীরা ১১ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে প্লেসেবো গ্রহণকারীদের সুস্থ হতে গড়ে সময় লাগছে ১৫ দিন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিকিৎসাতেও রেমডেসিভির ব্যবহার করেছিলেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু অবাক ব্যাপার এই যে রেমডেসিভির-এর প্রস্তুতকারীদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রেমিডিসেভির নিয়ে ট্রায়ালের পর মেডআরসিভ নামের মেডিক্যাল ওয়েবসাইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩০টি দেশের ১১ হাজার ২২৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক করোনা রুগীর উপরে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, রেমডেসিভির ও এইচআইভি প্রতিরোধক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, রেমডেসিভির ব্যবহারে করোনা রুগীদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় কিংবা মৃত্যু ঝুঁকি কোনওটাই কমেনি।