স্পোর্টস ডেস্ক/ S.H:
৯ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে চেলসি। ২-০ গোলে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের স্বপ্ন ভেঙ্গে ২৯ মে ইস্তাম্বুলে শিরোপার লড়াইয়ে আরেক ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে চেলসি।
সেমিফাইনালে মুখমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও চেলসি। খেলার প্রথমার্ধে বেশি ভাগ সময় বল ধরে রেখেছিল রিয়াল। তবে বলার মতো দুটি আক্রমণ করতে পেরেছিল রিয়াল। বেনজেমার একক প্রচেষ্টায় দুটি গোলই দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন চেলসি গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দি। তবে খুব বেশি সময় নিজেদের ভালোটা ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। রিয়ালের ডান দিক থেকে ম্যাসন মাউন্ট ও কাইল হার্ভার্টজরা আক্রমণ করে রিয়ালের রক্ষণে। তারই ফলস্বরূপ পেয়ে যায় ২৮ মিনিটে টিমো ভেরনারের গোলটা। তবে গোলের খাতায় আরো একটি গোল লেখাতে পারতেন জার্মান ফরোয়ার্ড। অফসাইডের কারণে ১৮ মিনিটের তাঁর গোলটি বাতিল হয় এবং তার সাথে চেলসির আরেক তারকা ম্যাসন মাউন্টও গোলের সুযোগ নষ্ট করেন।
প্রথমার্ধেই চেলসি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছিল কিভাবে খেলতে হবে রিয়ালের বিরুদ্ধে। বাকি গল্পটা সকলেরই জানা। ছন্দ পেয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে স্রেফ দাপট ছড়িয়েছে। অন্যদিকে শুরুতে হ্যাজার্ডকে বক্সের সামনে কয়েকবার ঘুরতেই দেখা গেছে। কিন্তু নিজের দলের জন্য কিছুই করতে পারেনি হ্যাজার্ড। নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগে গোল করে চেলসির ফাইনালে যাওয়ার টিকিট নিজের হাতে নিয়ে ফেলেছিল।
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় চেলসির বিপক্ষে এ নিয়ে পাঁচবারের মুখোমুখিতে হয়েছে রিয়াল। তবে বরাবরই নিজেদের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা জয়বঞ্চিত ছিল জিদানের রিয়াল। তবে চেলসির খুশি থেমে থাকিনি এখানেই। প্রথম ক্লাব হিসেবে ছেলে ও মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে উঠল চেলসি।