রিসোর্টে পর্যটক শরীফুল ইসলাম ‘হত্যাকাণ্ডে’ জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে মামলার আসামিদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে। এর আগে, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় লেমন গার্ডেন রিসোর্টে পর্যটককে হত্যার ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার শান্ত ঘোষ শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট ইউনিয়নের কাকিয়াছড়া চা-বাগান এলাকার বাসিন্দা। শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন শান্ত। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার রাত থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে গুলশান থেকে হত্যা মামলার আসামিদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এজাহারভুক্ত আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাপস চন্দ্র রায় বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অপর একটি রিসোর্টের ফুড অ্যান্ড ব্যাভারেজের কর্মকর্তা শান্ত ঘোষকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঘটনার দিন শান্ত বিকেল থেকে রাতে এজাহারভুক্ত আসামিদের পালিয়ে যাওয়া পর্যন্ত লেমন গার্ডেন রিসোর্টে নিহত ব্যক্তি ও আসামিদের সঙ্গে ছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, এ হত্যা মামলার মূল আসামি চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি উপজেলার খাসেরবাড়ি গ্রামের মো. নুরুল আমিন রাব্বি। তিনি শান্ত ঘোষের পূর্বপরিচিত। রাব্বি ও শান্ত একসঙ্গে ওই পাঁচ তারকা মানের রিসোর্টে কর্মরত ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, তিনিও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। হত্যাকাণ্ডের পর ২৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে আসামিরা যখন গাড়ি নিয়ে লেমন গার্ডেন রিসোর্ট থেকে পালিয়ে যান, তখন শান্ত তাদের সঙ্গে ছিলেন।
২৫ আগস্ট সকালে শরীফুল ইসলাম তার তিন বন্ধুসহ শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রিসোর্টে ওঠেন। ২৭ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রিসোর্টের কক্ষে শরীফুলের মরদেহ উদ্ধার হয়। তার সঙ্গে থাকা ওই তিনজন পালিয়ে যান। ২৮ আগস্ট নিহত শরীফুল ইসলামের স্ত্রী মুন্নী বেগম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে শ্রীমঙ্গল থানায় হত্যা মামলা করেন।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি