মোঃ জহির হোসেন,লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় উত্তর চরবংশীর কুচিয়ামারা গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে জমাদার বাড়ি ঝুলন্ত লাশউদ্ধার করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর নাম রাহিমা খাতুন (৪২) । এঘটনার পর থেকে নিহত রহিমার স্বামী কবির হোসেন ও তার ভাই আলমগীর জমাদার পলাতক রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বলে স্থানীয়রা জানায়। ঘটনার খবর পেয়ে হাজিমারা ফাঁড়ি থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন।
নিহত ছোট মেয়ে রুমা আক্তার গনমাধ্যম কর্মিদের জানায়,আমরা ছয় বোন দু’ভাই ছোট ভাই বয়স ৮মাস।দু’বোন বিয়ে হয়ে স্বামীর সংসারে বাকী আমরা চারজন ঢাকায় বাসায় বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। বাবা কবির কোনো কাজ কর্ম করেনা ঘুরে ফিরে খায় ও আড্ডা দেয়।আমাদের চাকুরির বেতনের টাকা মায়ের কাছে জমা রাখি সেই টাকা বাবাকে না দিলে মায়ের উপর বাবা অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। মায়ের সাফ কথা ওদের বেতনের টাকা দিয়ে বিয়ে দিতে হবে এই টাকা দেওয়া যাবেনা।
এর জের ধরে গতকাল বুধবার সকালে লোহার চেইন ও লাঠি দিয়ে বাবা মাকে বেদম পিটুনি দেয় আমি মাকে বাঁচাতে গেলে বাবা আমাকে ও বেদম পিটুনি দেয়।মারাত্মকভাবে আহত হয়ে জ্ঞান হারায় মা। রাতে অসুস্থ্য মাকে স্থানীয় ডাক্তারের চিকিৎসা করাই এবং ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বাবা ও জেঠা আলমগীর ঘরে ডুকে ঘুমের মধ্য এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাকে গলায় রশি দিয়ে লটকিয়ে রাখে আমি চিৎকার দিলে কেউ এগিয়ে আসেনি এবং আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয় বাবা।
হাজিমারা ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত রহিমার ঝুলন্ত লাশ নামানো হয়। বিষয়টি তদন্ত চলছে এসপি সার্কেল স্পীনা রানী প্রমানিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেবেন বলে জানিয়েছ আবুল কালাম আজাদ।