মোঃ জহির হোসেন, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের মনোনীত ৩ চেয়ারম্যান ও ১১ ইউপি সদস্য প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে-৭টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী সহ জাপা-বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন অংশগ্রহন করবেন বলে জানান রির্টানিং কর্মকর্তা। গতকাল শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকল প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয় বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা।
গত ১১ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৫১ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয় ও ১৯ জন প্রত্যাহার করেন। সংরক্ষিত আসনে ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন প্রত্যাহার ও ৪ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত। সাধারন সদস্য ৪৬০ জনের মধ্যে ৬৮ জন প্রত্যাহার ও ৭ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত।
রায়পুরের নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লাসহ চার রির্টানিং কর্মকর্তা জানান- উত্তর চরআবাবিল, সোনাপুর, চরপাতা, কেরোয়া, বামনী, দক্ষিন চরবংশি, দক্ষিন চরআবাবিল ইউনিয়ন। উত্তর চরবংশি আবুল হোসেন, রায়পুর ইউনিয়নে সফিউল আযম চৌধুরী সুমন ও চরমোহনা ইউনিয়নে সফিকুর রহমান পাঠান আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ৪ ও সাধারন ইউপি সদস্য ৭ জন-বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
উল্লেখ্য-ইউপি নির্বাচনে ২০১৬ সাল থেকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াত কয়েকটিতে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এতে সংঘাত ও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হবে। এ জন্য নির্বাচনে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে ভবিষ্যতে আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে পারবেন না-দলের কেন্দ্র থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারপরও ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতারা বিদ্রোহী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন এবং বহিষ্কৃত হয়েছেন।