নিউজিল্যান্ডে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্প্রচার করা হলো জুমার আযান। একই সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে ২ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে। এদিকে, গত ১৫ই মার্চের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের গণজানাজা কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। পরে দুই বাংলাদেশির মরদেহ নিউজিল্যান্ডেই দাফন করা হবে। নিহত অপর ৩ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে।
পরে আল নূর মসজিদের ইমাম সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মুসলমানদের প্রতি সহমর্মিতার জন্য নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্ববাসীর কৃতজ্ঞ জানান। তিনি বলেন, বহুবছর ধরেই মুসলমানরা ইসলামফোবিয়ার শিকার হচ্ছে। এর আগে কানাডা, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা বিদ্বেষমূলক হামলার শিকার হয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চের নির্মমতা রাতারাতি হয়নি। কতিপয় রাজনীতিক এবং গণমাধ্যমের ইসলামবিরোধী প্রচারণাই এর জন্য দায়ী।
এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, পারস্পরিক উদারতা, সমবেদনা এবং সহানুভূতিতে বিশ্বাসীরা একটি শরীরের মতো। যখন শরীরের একটি অংশ আক্রান্ত হয়, তখন পুরো শরীরে ব্যথা অনুভব হয়।
হাগলে পার্ক ত্যাগের আগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান শোকার্ত জাসিন্দা আরডার্ন। পরে জুমার নামাজে অংশ নেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উপস্থিত হওয়া কয়েক হাজার মুসল্লি। এদিন, সহমর্তিতা জানাতে হিজাব পড়ে সেখানে অংশ নেন অনেক নারী।
তারা বলেন, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ আজ। মুসলিম নারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা হিজাব পড়েছি। তারা আমাদের সমাজের অংশ। এখানে আসার অধিকার তাদের রয়েছে। তাদের জন্য আরো বেশি কিছু করা উচিৎ। যাতে তারা অনুভব করে বিশ্বাস করে আমরা একই সমাজের।