আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্তকারী প্রধান সড়ক ও রেল সেতুতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে মস্কো কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সেতুটিতে আংশিক ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
রাশিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেতুর ওপর একটি ফুয়েল ট্যাংকারে আগুন লেগেছে। তবে কেন আগুন লেগেছে, এ বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে ব্রিজের ওপর দাউ দাউ করে ফুয়েল ট্যাংকার জ্বলছে। সেই সঙ্গে ব্রিজটির কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটি রাশিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে বিবিসি। রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়া উপত্যকার ক্রাসনোদার এলাকার মধ্যে একমাত্র সংযোগ স্থাপনকারী এই ব্রিজ।
গত আগস্ট মাসে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কমান্ডার বলেছিলেন, কার্চ সেতুটি তাদের ‘বৈধ’ লক্ষ্যবস্তু। মেজর জেনারেল দিমিত্রো মার্চেঙ্কো আরবিসি-ইউক্রেনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার ভেতর থেকে সৈন্য আনা ও রসদ সরবরাহের সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করতে এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি কাজ।’
এদিকে, অধিকৃত ক্রিমিয়ার রাশিয়ান প্রশাসনের প্রধান ওলেগ ক্রিয়াঞ্চকো জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর আগুন নেভাতে কাজ চলছে। তিনি জানান, সেতুর শিপিং আর্চগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
২০১৮ সালে খুলে দেয়ার পর আরআইএ নভোস্তির রিপোর্ট অনুযায়ী, কার্চ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৪০ হাজার গাড়ি পারাপার হয়। সেতুটি দিয়ে বছরে প্রায় ১৪ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১৩ মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহণ হয়। সেতুটি খুলে দেয়ার পর এর নির্মাণ কাজকে যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ বলেছিল। সে সময় ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, কার্চ সেতুর নির্মাণ কাজ আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি রাশিয়ার অব্যাহত অবজ্ঞারই ধারাবাহিকতা।