প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করার পর থেকেই বিশ্বের বহু দেশে লকডাউন। আর দীর্ঘ সময় লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতেও বহু মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে অনেক সংস্থা কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে। এতগুলো দিন লকডাউন চলায় দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। তবে শুধু তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতেই আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসেনি। আমেরিকা, রাশিয়ার মতো উন্নত দেশগুলিতেও আর্থিক দুরাবস্থা চরমে পৌঁছেছে। রুটি-রুজিতে টান পড়েছে বহু মানুষের। লকডাউনের জেরে রেস্তোঁরা ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাজ হারিয়েছেন বহু শেফ। লকডাউন শিথিল হওয়ায় তাই এবার কাজ শুরুর দাবিতে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করলেন রুশ শেফরা।
রাশিয়ায় করোনার থাবা চওড়া হচ্ছে। তবে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকায় সেখানে লকডাউনের নিয়ম আগের থেকে শিথিল করা হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনে শিথিলতার ঘোষণা করেছে পুতিন সরকার। তবে রেস্তোঁরা ব্যবসার ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি প্রশাসন।
এদিকে দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ থাকায় উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়েছে রেস্তোঁরা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে শেফদের। আর তাই আর কোনও উপায় না পেয়ে এবার নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করলেন রুশ শেফরা। তাঁদের দাবি, রেস্তোঁরা ব্যবসাতেও এবার বিধিনিষেধ তুলে নিতে হবে।
দুমাস লকডাউনের পর কাজান শহরে একটি রেস্তোঁরা খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তবে এখনও বেশিরভাগ জায়গায় রেস্তোরাঁ বন্ধ। প্রতিবাদে অংশ নেওয়া শেফরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে আর কিছুই নেই। প্রায় নগ্ন হয়ে যাওয়ার মতোই অবস্থা।
সাইবেরিয়ান সিটির পাভেন নামে এক শেফ বলেছেন, আমরা তো স্ট্রিপ শো করছি না। কোনো শো-অফ করার জন্য এই প্রতিবাদ নয়। আমাদের শুধু একাই দাবি, কাজ। শপিং মল খুলেছে অনেক জায়গায়। সুপার মার্কেটে লোকজন যেতে পারছে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চালু হয়েছে। এসব জায়গার থেকে রেস্তোরাঁ তো অনেক বেশি সুরক্ষিত। দেশে এবার করোনা সংক্রমণ কমছে। এভাবে আর কতদিন আমরা চালাব। কাজ না থাকলে জীবন চলবে কীভাবে!
২৩ জুন লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেবে পুতিন সরকার। তার আগে রেস্তোরাঁ মালিকদের বলা হয়েছে, ছাদ বা ফাঁকা জায়গায় খাবার পরিবেশন করতে হবে। ইন্ডোর রেস্টুরেন্ট বা বার আপাতত বন্ধ থাকবে। সূত্র- জি নিউজ।