ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরে রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ভাই ভাই হার্ডওয়ার দোকানের সামনে থাকা মালামাল সরাবার কথা বলে কাউন্সিলর আবু তালেব ভাংচুর করেছেন বলে দোকান মালিক বিক্রম পাল অভিযোগ করেছেন। মালামাল ভাংচুরের বিষয়ে ওই দোকানে কর্মরত ম্যানেজার আব্দুল গফুর বলেন কাউন্সিলর তালেব দোকানে এসেই বলে মালামাল দোকানের বাহিরে রাখা যাবে না,সব মালামাল ভিতরে রাখতে হবে। এক পর্যায়ে তিনি কথা কাটাকাটির মধ্যে কিছু বুঝে উঠার আগেই বাহিরে থাকা মালপত্রে লাথি মেরে ও আছড়ে ভেঙ্গে ফেলেন। কাউন্সিলর তালেব আরো অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, ঘটনার সময় খবর পেয়ে পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে কাউন্সিলর তালেবের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান ও তাকে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু তালেব মেয়রের কথা না মেনে তার সামনেই ব্যবসায়ী মিন্টু বসাক,রন্টি পাল ও সুমন বসাককে বেধড়ক মারধর করে আহত করেন।এতে ব্যবসায়ী ও উপস্থিত লোকজন কাউন্সিলর তালেবকে ঘেরাও করে গণধোলাই দেয়। এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
গণধোলাইর শিকার আহত কাউন্সিলরকে লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর আবু তালেব আক্ষেপ করে বলেন, “আমার কিছু বলার নাই, হয়তো অপরাধ করেছি, তাই সাজা পেয়েছি।”
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ ঘটনায় কয়েক ঘন্টা ধরে শহরের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। পরে মেয়র ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে দোকান খোলা হয়।
এ বিষয়ে মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাউন্সিলর তালেব কেন কি কারণে ব্যবসায়ীদের সাথে এই ধরনের আচরণ করেছেন তা আমি জানিনা। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে আমার সামনেই কাউন্সিলর ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমি চেষ্টা করেও কাউন্সিলর তালেবকে থামাতে পারিনি।
মেয়র আরো বলেন, আমরা এটি তদন্ত করলে আসল বিষয়টা জানতে পারবো। এ ব্যাপারে থানার ওসি গুলফামুল ইসলাম বলেন, এখনো থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিবিএন/এসডিআর/মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান