হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ব্রক্ষ্মপুর গ্রামে গত শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে পুলিশ আঁখি আকতার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত আঁখি ওই গ্রামের রফিজুল ইসলামের ছেলে রাজু হোসেনের (২৩) স্ত্রী এবং পীরগঞ্জ উপজেলার দোস্তমপুর গ্রামের একরামুল হকের মেয়ে।
এ নিয়ে নিহত আঁখির বাবা ওই রাতেই রাণীশংকৈল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গত দু’বছর আগে রাজু হোসেনের সঙ্গে আঁখি আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আঁখি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়। ঘটনার দিন ৯ এপ্রিল সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আঁখিকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকেরা অনেক মারপিট করে। এতে আঁখি বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাবার বাড়ি যাবার কালে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। খবর পেয়ে বিকেলে আঁখির বাবা ও আত্মীয়রা জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘরে আঁখিকে মৃত দেখতে পান। সন্ধ্যার পরে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে আঁখির লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে পুলিশের এস আই বদিউজ্জামান জানান, লাশের গলায় কালো দাগ দেখে মৃত ব্যক্তি ‘ হ্যাংগিং'(ঝুলন্ত) ছিল বলে মনে হয়।
ওসি এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, গততাল অনেক রাতে সুরতহাল শেষে লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়। লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এদিকে বাদি মৃত আঁখির বাবা বলেন,আমার মেয়েকে মেরে ফেলে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে ওরা এখন আত্মহত্যার কথা বলতেছে।