ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কুলিক নদীকে বাঁচাতে, নদীর মূল ধারাকে দখলমুক্ত এবং প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র রক্ষায় রাণীশংকৈল উপজেলা কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) উপজেলা পরিষদ চত্বরের মূল ফটকের সামনে কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, কুলিক নদী সুরক্ষা সকমিটির সদস্য সচিব এ্যাভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, সাবেক পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম (ভিপি), প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, প্রেসক্লাব (পুরাতন) সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-সভপতি হুমায়ুন কবির,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আরথান আলী, যুগ্ন সম্পাদক জাকারিয়া হাবিব ডন, ছাত্রলীগ নেতা তামীম হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাণীশংকৈল পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ‘কুলিক’ নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খননকার্য পরিচালনা করে নদীর গভীরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা, নদীর দুই পাড়ের ভাঙ্গন রোধে ব্লকপাথর দিয়ে বাধাঁই করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, কুলিক নদীর দুই পাড়ে পর্যাপ্ত বৃক্ষ রোপন করার মাধ্যমে বনায়ন কার্যক্রম সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা, নদীর দুই পাড়ের দখল উচ্ছেদ করিয়া নদীর সৌন্দর্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুলিক নদীকে পর্যটক বান্ধব নদীতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন, কুলিক নদীর পানিকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা, পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ কুলিক নদীতে ফেলা হইতে বিরত থাকা। এছাড়াও অতিথি পাখির নিরাপদ অবস্থান অনিশ্চিত করা।
যেহেতু বাংলাদেশের নদ-নদী সমূহ দেশের জাতীয় সম্পন্ন এবং নদীর অবৈধ দখল, পানি ও পরিবেশ দূষন, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষন, অবৈধ অবকাঠামো নির্মান ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার ও নদীর যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণ নিশ্চিতকল্পে বিধি বিধান রয়েছে। এটি এখন রাণীশংকৈল বাসীর জন্য সময়ের দাবী বলেও বক্তারা জানান।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৪৭ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি