এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজশাহীকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় খুলনা টাইগার্স।
আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চট্টগ্রাম-রাজশাহীর ম্যাচে যে জিতবে তারাই যাবে ফাইনালে। এমন সমীকরণে সন্ধ্যায় টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রাজশাহী।ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালায় ক্রিস গেইল। তার ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের ইংগিত দিলেও শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় কোনোমতে দেড়শ রান পার করে চ্যালেঞ্জার্সরা।গেইল ২৪ বলে ৬০ রান করে বিদায় নেয়ার পর মাহমুদউল্লাহ করেন ১৮ বলে ৩৩ রান। শেষদিকে ২৫ বলে ৩১ রান করেন আসিলা গুনারত্নে।রাজশাহীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ইরফান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। ১টি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল, আফিফ হোসেন ও অলক কাপালি।জবাবে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর দুই নির্ভরযোগ্য ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ফিরে যান ব্যর্থ হয়ে। আফিফকে ২ রানে ফেরান রুবেল হোসেন আর লিটন ৬ রানে ফেরেন রান আউট হয়ে।এরপর অলোক কাপালি ১১ বলে করেন ৯ রান। ইরফান অলোকের বিদায়ের পর ইরফান শুকুর ও শোয়েব মালিকের জুটিতে ধীর হয়ে যায় রানের চাকা। এই জুটি থেকে আসে ৪৬ রান ৪৭ বল থেকে।শোয়েব মালিক ২২ বলে করেন ১৪ রান। আন্দ্রে রাসেল এসে জুটি বাধেন ইরফান শুকুরের সঙ্গে। ইরফান শুকুরের ব্যাটে ৪৫ রান আসলেও খেলেন ৪২ বল।সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নেওয়াজ ৫ বলে ১৪ রান করে বিদায় নিলে চাপে পড়ে যান আন্দ্রে রাসেল। এখান থেকেই রাজশাহীকে টেনে তুলেন রাসেল।তার চার-ছয়ের ঝড় আর থামাতে পারেনি চট্টগ্রামের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত রাসেলের অপরাজিত ৫৪ (২২) রানে ভর করে চট্টগ্রামকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় রাজশাহী।চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও রায়াদ এমরিত। ১টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান, মাহমুদউল্লাহ ও জিয়াউর রহমান।আগামী ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফাইনালে খুলনা টাইগার্সের প্রতিপক্ষ রাজশাহী রয়ালস।সূত্র : আর টি ভি