রাজনীতিতে কিছু মানুষ সবসময় সুবিধা ভোগ করে। দলের অবস্থান বদল হলে তারাও পল্টি মারে। এরা ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে দুর্নীতি করে, ধনী হয়। ১২ বছর সুবিধা নিয়ে এখন তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। এদের কারনেই দলের সুনাম নষ্ট হয়। ভাড়া করা দালাল প্রতিদিন শোস্যাল মিডিয়াতে মিথ্যাচার করছে। এদের প্রচারনা শুনে মনে হবে সরকারের পতন সময়ের ব্যপার মাত্র। কিন্তু বাস্তবতাটি মোটেও তেমন নয়। দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়। দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে জনগনও বদলে গেছে। উন্নয়নের রাজনীতি প্রত্যাশা করে সরকারের কাছে। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোন কোন নেতার উপর মানুষের অসন্তুষ্টিও আছে কিন্তু সার্বিকভাবে সরকারের উপর জনগন তুষ্ট। জনগন শেখ হাসিনাকেই যোগ্য প্রধানমন্ত্রী মনে করে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও তা’ই মনে করে কিন্তু বলেনা। আগামি নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে তা তারা জানে। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে একটি গ্রহনযোগ্য অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তারা। ছয় মাস দেশে অবস্থান করে একটি বিষয় নিশ্চিত হয়েছি। দুর্নীতিবাজ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। এই তালিকায় অনেক পরিচিত মূখও রয়েছে। দলের দুঃসময় অনুমান করে পালায়নে ব্যস্ত যারা তাদের নামও রয়েছে এই তালিকায়। দলের ত্যগী কর্মীদের উচিৎ এই দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করা। আগামি নির্বাচনে যেন দুর্নীতিবাজরা আর কোন সুযোগ নিতে না পারে!
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
৮ আগষ্ট ২০২১।