২০১৬ সালে আমেরিকার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব অনুমান ভুল প্রমান করে নির্বাচীত হয়েছিলেন। তার শপথগ্রহন অনুষ্ঠানেই বলে দিয়েছিলেন “আমি একবার নয় দুই বারের জন্য নির্বাচীত হবো”। কোন যূদ্ধ না করেই ট্রাম্প তার মেয়াদ পুর্ন করেছেন। খুব ভাল করতে না পারলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় বড় কোন ভুলও করেননি। সম্প্রতিক নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় প্রায় নিশ্চিতই ভেবেছিল অনেকে। কিন্তু ব্যাক্তিগত আচরন আর অন্যকে বিদ্রুপ করে সমালোচিত হয়েছেন ব্যপকভাবে। সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছেন। সমালোচনা শুনলেই ক্ষিপ্ত হয়েছেন সবার উপর। সব চেয়ে বেশী ভুল করেছেন করোনা ভাইরাসকে অগ্রাহ্য করে। হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) এর হুশিয়ারীকে ব্যঙ্গ করেছেন। মাস্ক পরা নিয়ে উপহাস করেছেন। করোনা সংক্রান্ত কোন সভাতেও উপস্থিত থাকেননি। তিন লক্ষ মানুষের জীবন গেছে ট্রাম্প গ্রাহ্য করেননি। নির্বাচনে এই সব বিবেচনা করেই ভোট দিয়েছে জনগন। হেরেগেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনে হেরে ট্রাম্প যা করেছেন তা আমেরিকার ইতিহাসে আগে কখনো কেউ করেনি। লিঙ্কন টাওয়ারে আক্রমন করিয়েছে সমর্থকদের দিয়ে। ধিকৃত হয়েছেন জনগনের কাছে। আমেরিকার ইতিহাসে এখন সবচাইতে খারাপ এবং অযোগ্য প্রেসিডেন্টের কেতাব পেয়েছেন ট্রাম্প।
বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্রটি বিশ্লেষন করলেও একই অবস্থা দেখা যাবে। কিছু দল এবং নেতার উত্থান এমনই চমৎকার ছিল কিন্তু পরিনতিটি ভাল হয়নি। ট্রাম্পের মতই ঔদৌত্বপুর্ন আচরনে হারিয়ে গেছেন তারা রাজনীতি থেকে। দল আছে কর্মী নেই তাদের। বেচে আছেন কিন্তু রাজনীতিতে নেই। ভুল আর স্বার্থপরতার রাজনীতি করে দলকে নিঃস্ব করে দিয়েছেন। ক্ষমতায় গিয়ে দাপটের সঙ্গে শাসন করেছেন কিন্তু এখন তারা আস্তাকুড়ে। সব দেখেও এরা শিখেনি কিছু, শিখতেও চায় না। ভারত বিদ্বেষী আর ধর্মের নামে রাজনীতি করে প্রত্যাখ্যান হয়েছেন জনগনের কাছে। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে ভাল আছেন কেউ কেউ কিন্তু রাজনীতিতে নেই। যে যতভাবেই সমালোচনা করুক আর বিরোধীতা করুক, শেখ হাসিনাই নেতা। উন্নয়ন দেখিয়ে তিনিই জনগনের আস্থাটি ধরে রেখেছেন। দেশের জনগনের একমাত্র ভরসা এখন শেখ হাসিনা। মিথ্যার রাজনীতি করে বেশীদিন স্থায়ী হওয়া যায়না কথাটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিখিয়ে দিয়েছেন। রাজনীতি কৌশল করেও স্থায়ী করা যায়না। রাজনীতি হতে হবে দেশের এবং দেশের মানূষের জন্য। যেমনটি দেখিয়েছেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরণ্টো, কানাডা
৮ জানুয়ারী ২০২১।