জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। অনেকের ধারনা সময়ের আগেও নির্বাচনের ঘোষনা আসতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনি প্রস্তুতি নিতে। অন্যান্য দলও একই ভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। বি এন পি যে দাবী আর আশা নিয়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছিল তা আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিদেশীরাও বলে দিয়েছে তারা একটি অংশগ্রহনমূলক স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। কোন পদ্ধতিতে বা কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে তা তাদের কাছে মূখ্য বিষয় নয়। এ বিষয়ে বিদেশীরা কোন কথা বলবেনা। দেশের জনগনের কাছেও বি এন পি তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীটি খাওয়াতে পারেনি। নির্বাচন করেই জনগনের সমর্থন আদায় করতে হবে বি এন পি’কে। এখন যদি দলটি এখন নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পরবে। আবার যদি নির্বাচনে যায় তাহলে ভরাডুবির সম্ভাবনাই বেশী কারন দল গোছানো নয়। নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়ে দলে নেতা কর্মীদের নিষ্কৃয় করে রাখা হয়েছে। মাঠ কর্মীদের আংশগ্রহন ছাড়া নির্বাচনে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব হবেনা।
✪ আরও পড়ুন: এখন করনীয়:
এছাড়াও দলের দুই প্রধান নেতা অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে আদালতের রায়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং নির্বাচনে অযোগ্য। একজন জেলে আর অন্যজন বিদেশে পলাতক। এই দুই নেতা ছাড়া অন্য কারও পক্ষে দলকে ঐক্যবদ্ধ করা শুধু অসম্ভব নয় অবাস্তব। তাই নেতারা রাজনীতিতে টিকে থাকতে একটি ইস্যু প্রস্তুত রাখতে চেয়েছে (যেমনটি এখন তারা করছে রাতে ভোট হয়েছে বলে)। রাতে ভোট হয়েছে এমন কোন ফুটেজ গনমাধ্যমসহ কারও কাছে নেই। কিন্তু প্রচারনাটি সমর্থন পেয়েছে। রাজনীতির এই ষ্টেন্ডবাজি বি এন পি বার বার করেছে। ষ্টেন্ডবাজি করেই অবৈধ দখলদারী করেও জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে। গনতান্ত্রিক পন্থায় দলটি জনগনের কাছে যেতে পারেনি। বিগত পাচ বছর ধরে মিথ্যাচার করেই রাজনৈতিক মাঠ গরম করে রেখেছে। একইভাবে দলটি আবারও একটি ইস্যু প্রস্তুত রাখতে চেয়েছিল-সফল হয়নি।
✪ আরও পড়ুন: রাজনীতি:
দলের কোন সম্মেলন নেই। তারেক রহমান লন্ডনে বসে দলের উপর খবরদারি করছেন। বেগম জিয়া জেলে গিয়ে আশা করেছিলেন নেতাকর্মীরা আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করে আনবে। নেতারা বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করেনি তাই তিনি ক্ষুদ্ধ সিনিয়র নেতাদের উপর। তারেক চাচ্ছে মা’কে সরিয়ে দলের সর্বময় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রন নিতে। বেগম জিয়া অসুস্থ্য কিন্তু নিয়ন্ত্রন ছাড়তে নারাজ। এই দন্দে নেতারাও বিভক্ত। সম্প্রতি বেগম জিয়াকে মেরে ফেলার ষরযন্ত্র হচ্ছে বলেও খবর বেড়িয়েছে। সরকার যদি এখন বেগম জিয়াকে ট্রাম কার্ড হিসাবে ব্যবহার করে (করছেনা বলা যাবেনা) তাহলে বি এন পি কোন দিকে যাবে?
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এর পাশাপাশি সরকারের অভাবনীয় সাফল্য এবং বিদেশে বাংলাদেশের সাফল্যের বর্ননা শুনে কি মনে হয়? বি এন পি কি পরবে সব বাধা অতিক্রম করে সরকার গঠনের অবস্থায় দলকে নিয়ে যেতে? অবহেলিত দক্ষিন বঙ্গবাসি এখন পদ্মা সেতুর কারনে আধুনিক প্রযুক্তির সুযোগ পেয়ে গেছে। এই অঞ্চলের কোন আসনটি বি এন পি’র জন্য নিশ্চিত? এবং কেন? তিন মেয়াদ সরকার দেশ পরিচালনা করছে। কোন কাজটি সরকার করেনি? যে দেশটি দুর্ভিক্ষের দেশ ছিল সেই দেশ এখন স্বল্পোন্নিত দেশের একটি।
দক্ষিন পুর্ব এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক অংশিদার এখন বাংলাদেশ। নির্বাচনে এই সব বিষয়ইত আলোচিত হবে। বি এন পি’র কোন বিষয়টিকে জনগন ভোট দেওয়ার বিবেচনায় রাখবে-ভাবনার সুযোগ রয়েছে বৈকি!
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি