রাজনীতির শুদ্ধিকরনের দাবী উঠেছে বহুদিন ধরেই। নেতারাও প্রায়ই বলেন কিন্তু, দেশের অন্যতম সমস্যা এখন রাজনীতি। রাজনীতির রাজনীতির শুদ্ধিকরনঃ
রাজনীতির শুদ্ধিকরনের দাবী উঠেছে বহুদিন ধরেই।নেতারাও প্রায়ই বলেন কিন্তু, দেশের অন্যতম সমস্যা এখন রাজনীতি। রাজনীতির সজ্ঞাটিই বদলে দিয়েছে এখনকার রাজনীতি। রাজনীতি হলো দেশের মানূষের সেবার ব্রত নিয়ে নীজের স্বার্থকে উৎসর্গ করা। এই জন্যই নেতারা মানূষের কাছে সমাদৃত হন, সম্মানীত হন। বর্তমান রাজনীতি ঠিক তার উল্টো, তাই বেশীর ভাগ নেতারাই মানূষের কাছে শ্রদ্ধাটি পান না। ভোটও দেন হয় ভয়ে না হয়, বিনিময়ে। সেই কারনেই দেশের মানূষের দাবী উঠেছে রাজনৈতিক দলের গনতন্ত্র চর্চা আর শুদ্ধিকরনের। রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে অনৈতিকতা এখন দেশ ছেয়ে গেছে। সরকার যখন এই অভিযানে হাত দিয়েছে তখন, বেড়িয়ে আসছে অনৈতিকতা সর্বত্র। যারা অপরাধে ধরে পরছে তাদের সবার সঙ্গেই কোন না কোনভাবে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ঠতা বেড়িয়ে আসছে। দায়টি কেউ এড়াতে পারবেনা। তবে সূখের বিষয়টি হল, বর্তমান সরকার দলীয় পরিচয়ে কাউকেও ছাড় দিচ্ছেনা। নেতৃত্বের কাছে এমনটাই প্রত্যাশীত ছিল। আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিগত নির্বাচনে জাতীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জনগনের রায় পেয়ে ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার কথা রেখেছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় দল ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে, কিন্ত জনগনের আস্থা অর্জন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যারাই ক্ষমতায় ছিল তাদের সবার বিরুদ্ধেই অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু তারা এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযানটি যখন শুরু হয়েছে, সবারই খোজ নিতে হবে। সুষ্ঠভাবে তদন্ত হলে অনেকের নামই বেড়িয়ে আসবে। এই অভিযানে কিছু মানূষের মনে ভিতী সৃষ্টি হলেও দেশের মানূষের মনে স্বস্থি ফিরে আসবে। রাজনীতিও সঠিকভাবে পরিচালিত হবে। রাজনীতি থেকে অর্থনৈতিক প্রাপ্তির সুযোগটি বন্ধ হলে নেতা খুজে পাওয়াও দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাবে। প্রার্থনা করছি- এমনটাই যেন হয়!
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
১ অক্টোবর ২০২০।