দেশের সমস্যা থাকবেই। সমস্যার অন্ত নেই। একটা শেষ হলে অন্য সমস্যা এসে হাজির হবে। সমস্যকে মোকাবেলা করাই নেতৃত্ব আর এই জন্যই যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। দেশ কখনোই গরীব হয়না, সরকারের ব্যর্থতা দেশকে গরীব বানায়। এই জন্য দেশের নেতৃত্বকে হতে হবে সাহসী আর দেশপ্রেমিক। বাংলাদেশকে নিয়ে এখন বিশ্ববাসী গর্ব করে, উদাহরন দেয় উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্র হিসাবে। যারা এক সময় বাংলাদেশকে নিয়ে বিদ্রুপ করত তারাই এখন প্রশংসা করে উন্নয়ন দেখে।
৭২ সালে বাংলাদেশে আবাদি জমীর পরিমান ছিল ৯৪ লক্ষ হেক্টর, লোক সংখ্যা ছিল সাড়েসাত কোটি। তখন খাদ্য ঘাটতি ছিল ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। এখন আবাদি জমীর পরিমান নেমে এসেছে ৫৪ লক্ষ হেক্টরে, লোকসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ কোটি। এখন বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি পুষিয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে ২ লক্ষ্য টন। এই সাফল্য সরকারের। কৃষিবান্ধব বাজেট আর কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারন দেশকে এই অবস্থানে এনে দিয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের সাফল্য শিল্প কারখানার উৎপাদন বাড়িয়েছে, রপ্তানি উৎসাহিত হয়েছে। আমদানি নির্ভর অর্থনীতি এখন রপ্তানিতে রাজস্ব উৎপাদিত হচ্ছে, কৃতিত্বটি সরকারের। দেশে সমালোচক আর সমালোচনার কমতি নেই। সব অগ্রাহ্য করে বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনা করে রাজস্ব ভান্ডারে জমা করেছে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখান থেকেই বর্তমান দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্ব্বোচ্চ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেছে সরকার। নিন্দুকেরা যতই বলুক কৃতিত্বটি সরকারেরই, শেখ হাসিনা সেই কৃতিত্ব প্রমান করেছেন।
আবারও নতুন করে দলছুট নেতারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পায়তারা করছেন দেশে। সরকারের ভুল খুজে কথা বলার সুযোগ খুজছেন। কোভিড-১৯ যখন বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নিয়েছে, এই নেতারা তখন ঘরে বসে রাজনীতির প্লট খোজার চেষ্টায় লিপ্ত। পদ্মা সেতু চালু হবে সেই যন্ত্রনায় নোবেল বিজয়ীরাও কালো মূখ করে আছেন। আরেক নেতা বলেই দিয়েছেন ” এই সেতুতে উঠবেন না ভেঙ্গে পড়বে”। এরাই যদি দেশের নেতা হন তাহলে বাংলাদেশ ভেনিজুয়েলা হতে বেশী সময় লাগবেনা। প্রতিযোগিতা থাকা ভাল শত্রুতা নয়। দেশপ্রেমের প্রতিযোগিতা হলে দেশ উন্নতি হবে, ব্যক্তিগত শত্রুতা রাজনীতিতে এলে দেশ রসাতলে যাবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে অনেকেরই গাত্রদাহ হয় বুঝি কিন্তু, আপনারা যারা নিত্য তত্ব প্রচার করেন, আপনাদের আমলনামাটি কি? ঘরে বসে বিবৃতি দিলে আর বিশেষজ্ঞ হলেই দেশের উন্নয়ন করা যায়না। দেশকে দেশের মানূষকে ভালোবাসলে কর্ম দিয়ে প্রমান দেখাতে হয় যেমন দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু আর তার কন্যা শেখ হাসিনা। কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে ব্যংলাদেশের মানূষকে আর বোকা বানানো যাবেনা। দেশ বদলে গেছে। শেখ হাসিনাই দেশের একমাত্র নেতা যিনি জনগনকে ভালোবাসেন আর দেশকে ভালোবাসেন। সম্পদ গড়ার চেষ্টা করেননা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
১ মে ২০২০।