কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত সরকারের সমালোচনে করে চলেছে। এরা কেউ অশিক্ষিত নয়, লেখাপড়া জানা এবং অসত্য বলার অসাধারন যোগ্যতা তাদের। সরকারের সফলতা তারাও বোঝে কিন্তু, সত্য বলে নীজের অযোগ্যতার প্রমান করতে চায়না। অনেকেই প্রশ্ন করেন “শেখ হাসিনা কি করেছে দেশে?”
একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি সে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আর, ব্যরোমিটারটি নিয়ন্ত্রন করে দেশের জি ডি পি! বাংলাদেশের জি ডি পি এখন ৮.৫ ভাগ যেখানে, প্রতিবেশী ভারতের জিডপি পুর্বের চেয়ে ২৩ ভাগ নীচে নেমে গেছে। একটি আধুনিক দেশের দৃশ্যমান চেহারাটি হল সে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বর্তমান সরকার শুধু পদ্মা সেতুই নির্মান করেনি, ভোলা সেতুও নির্মানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে। ভোলা সেতুই হবে দেশের দীর্ঘতম সেতু। ভোলা দ্বিপটি সংযুক্ত হবে বরিশালার সংগে। বরিশাল যুক্ত হয়ে গেছে পদ্মা সেতুর সাথে। দক্ষিন বাংলার ১৯ টি জেলা সংযুক্ত হয়ে যাবে আন্তবানিজ্যে। ইতিমিধ্যে কর্নফুলী নদীতেও টানেল নির্মীত হয়ে গেছে। উত্তরবংগ সংযুক্ত হয়ে গেছে যমুনা সেতু নির্মীনে। সড়ক যোগাযোগেও অকল্পনীয় উন্নয়ন হয়েছে দেশে। বর্তমান সরকারের আমলে বিদ্যুত উন্নয়ন এবং সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। দেশের উৎপাদন বন্ধ হয়নি বিদ্যুতের কারনে একদিনও। রপ্তানী উৎসাহিত হয়েছে এবং রপ্তানি বেড়েছে রেকর্ড পরিমান। ফলে জাতীয় রাজস্ব উৎপাদিত হয়েছে অভাবনিয়ভাবে। বিশ্বব্যপি করোনার প্রদুর্ভাব এবং দীর্ঘ সময় বন্যার মধ্যেও দেশের রিজার্ভ এখন ৩৮ বিলিয়নে পৌঁছে গেছে। বিশ্বমন্দা পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করতে পারেনি। সরকারের যোগ্যতার মাপকাঠি এটাই। দেশের সাফল্য নিশ্চিত করতে সরকারকে হতে হয় দেশপ্রেমিক আর প্রত্যয়ী। শেখ হাসিনার সরকার সাফল্যের সেই প্রমান দিয়েছে।
সরকারের যোগ্যতা যাচাই করতে অন্য সরকারের সাথে পার্থক্যটিও জানা জরুরী। পুর্ববর্তি সরকার ইন্টারনেট ক্যাবলের বিনা মুল্যে সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছে যোগ্যতার অভাবে। বর্তমান সরকার সেই সুবিধা কিনে এনেছে বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে। এখন বংগবন্ধু স্যাটেলাইট সেই সুবিধা সরবরাহ করছে বিদেশের কাছেও। সুইজারল্যন্ডের একটি কম্পিউটার কম্পানি বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ সরকারের কাছে। কম্পানিটির নাম টিউলিপ হওয়ায় আগের প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়েছেন শুধু নামের জন্য। টিউলিপ বংগবন্ধুর নাতনীর নাম।
প্রচারনায় বিশ্বাস করে অনেকেই এখন সরকারের সমালোচনা করেন, প্রশ্ন করেন ” সরকার কি করেছে আমাদের জন্য”। তারা মনে করে, দেশ উন্নত মানে কারও কিছু করার দরকার নেই। সরকার এসে তাদের মূখে খাবার তুলে খাইয়ে দিয়ে যাবে। জানেনা সৌদি আরবেও ভিক্ষুক আছে, এমেরিকাতেও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। নীজে গরীব হওয়া মানে দেশ গরীব হওয়া না। গরীব হয় কারন সে কাজ করতে চায়না। উন্নত দেশেও অভিযোগ করার মানুষ রয়েছে, দেখতে হবে অভিযোগটি করছে কে!
কোন দেশই গরীব হয়না, দেশের সরকারের ব্যর্থতা দেশকে গরীব বানায়। সরকার হতে হবে দেশপ্রেমিক এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে গুরত্ব বিবেচনা করে। কোনটি প্রথম সেটিও চিন্তা এবং যোগ্যতার ব্যাপার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুত উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে যথার্থভাবে। বিদ্যুত ছাড়া উৎপাদন সম্ভব হতনা অথচ, এই বিদ্যুত প্রকল্প নিয়েও সমালোচনা হয়েছে অনেক। অজ্ঞতা আর অযোগ্যতার কারনে পুর্বের সরকার খাম্বা কিনেছে, এখন বিদ্যুতকেন্দ্র স্বচল হয়েছে। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলেও বিদ্যুত চলে গেছে। শেখ হাসিনাকে যে যতভাবেই সমালোচনা করুক, শেখ হাসিনা দেশকে বদলে দিয়েছেন। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ দুর্নীতির গ্রস্থ চ্যাম্পিয়ান বলেনা, এখন উন্নয়নের মডেল রাষ্ট্রের খেতাব দিয়ে বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের উদাহরন দেয়। শেখ হাসিনা এখন নেতৃত্বেও বিশ্ব সভায় সমাদ্রিত। বিশ্ব নেতাদের প্রশংসা বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষগুলির গাত্রদাহ হচ্ছে জানি, সত্যটিও বলার সহস নেই তাদের। মিথ্যাচার করে জনগনকে উত্তেজিত করতে চাইছে রাজনৈতিক অপকৌশলে। এই অপকৌশলও রাজনীতির পরিপন্থি এবং মিথ্যাচার আইনত দন্ডনিয়। রাজনীতির মিথ্যা কৌশলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় নেতারাই, প্রমান আছে। যত বেশী সম্ভব অপপ্রচার করুন, লাভ হবে শেখ হাসিনারই। কারন সত্য চাপা থাকেনা।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
২ সেপ্টম্বর ২০২০।