সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মেয়ে সৈয়দা রীমা ইসলামের বেশকিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই ছবিগুলোতে দেখা গেছে, পিতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কফিনের পাশে বিমর্ষ বদনে দাঁড়িয়ে আছেন মেয়ে রীমা। রীমা ইসলাম ও অন্যান্যরা গাড়ি থেকে পিতার কফিনটি নামাচ্ছেন। তিনি অশ্রু ভারাক্রান্ত নয়নে তাকিয়ে আছেন।
তবে বাবার অবর্তমানে রাজনীতির হাল ধরবেন কী না, তা নিয়ে চলছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। অনেকে বাবার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে রীমাকে মনোনয়ন দেয়ারও দাবি তুলেছেন।
তবে এখনই রাজনীতিতে নামার ইচ্ছে নেই প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মেয়ে রীমা ইসলামের। সময়ের চাহিদায় সিদ্ধান্ত বদলও হতে পারে- যা নির্ভর করছে দল বা দলের সভাপতির ওপর। এমনই আভাস দিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
রাজনীতিতে আসার বিষয়ে, রীমার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এখনই এমন কিছু চিন্তা করেননি তারা। মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনায় রেখে পরিবারে এ নিয়ে তেমন কোনো আলাপও হয়নি।
রীমার ভাইরাল হওয়া ছবি অনেকের হৃদয়ে গেঁথে গেছে। অনেকেই তাকে নিয়ে আবেগতাড়িত স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে হারিয়েছেন মা-বাবা দুজনকে। হয়েছেন বাকরুদ্ধ, স্বজন হারানোর ব্যথায় কাতর। আপনজন হারিয়ে চারপাশে যেন কেবলই শূন্যতা।
কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে রীমা তার বাবার উত্তরসূরি হতে পারেন- এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকে। তবে বেশিরভাগ সমর্থকেরাই চাচ্ছেন রীমা ইসলামকে যেনো উপ-নির্বাচনে এমপি প্রার্থী করা হয়।
রীমা ইসলামের চাচা (সৈয়দ আশরাফের চাচাতো ভাই) সৈয়দ তারেকুল ইসলাম ভিক্টর জানান, বাংলাদেশের আপামর মানুষের ভালোবাসা দেখে এবং পিতার প্রতি জনগণের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা দেখে রীমা অচিরেই দেশে ফিরে আসার চিন্তা করছেন। লন্ডনে চাকরি ছাড়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সহসাই তার ফিরে আসার কথা রয়েছে।
বাবার মতোই মৃদুভাষী, শান্ত ও ধৈর্যশীল তরুণী রীমা। শোলাকিয়া মাঠে বাবার জানাজার সময় পাশেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন তিনি। কর্তব্যের টানে গত মঙ্গলবার বাবার শেষ চিকিৎসাস্থল ব্যাংকক গেছেন তিনি। সেখানে হাসপাতালের বকেয়া দেনা ও বকেয়া বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করে ফিরে যাবেন নিজের কর্মস্থল লন্ডন শহরে।