তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের রাজনগরে গত এক সপ্তাহ ধরে কুশিয়ারা পাড়ের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। গত ১৬ জুন উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে ফেঁপে এসব এলাকা প্লাবিত হয়। এতে উপজেলার উত্তরভাগ ও ফতেহপুর ইউনিয়নের ২৮টি গ্রামের এসব মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। উপজেলার মনু নদের পানি কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় কয়েকেটি গ্রাম আশংকা মুক্ত হলেও কুশিয়ারা নদীর পানি অব্যাহত ভাবে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে কুশিয়ারার আব্দুল্লাহপুর সহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের আশংকা রয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। স্থানীয় প্রশাসন, সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এসব এলাকার বন্যার্তদেও খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বেশ কয়েকটি মেডিকেল টিম গঠন করে দুর্গত এলাকার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৬ জুন রাজনগরের উত্তরাঞ্চলের উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নের ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়। কুশিয়ারা নদীর পানি উপচে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের বাহিরে নদী তীরবর্তী এসব গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে ৩০ হাজার মানুষ। টানা ৭ দিনের বন্যায় এসব এলাকার মানুষের মধ্যে খাদ্য সংকট সহ দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব।
এদিকে, অব্যাহত বন্যায় মানুষের বাড়িঘর ছাড়াও প্লাবিত হয়েছে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৫টি মসজিদ, ৫টি মন্দির, একাধিক কবরস্থান। দুর্গত ৪শ পরিবারের প্রায় ২হাজার মানুষকে ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
দুর্গত মানুষের জন্য বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা, ঔষধ, স্যালাইন সহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সামাজিক সংগঠন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ হতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৪’শ পরিবারের মধ্যে ৮’শ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
দুর্গত মানুষের জন্য বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা, ঔষধ, স্যালাইন সহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও সামাজিক সংগঠন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ হতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৪’শ পরিবারের মধ্যে ৮’শ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বাবলু সূত্রধর জানান, এ পর্যন্ত বন্যা দুর্গতদেও মাঝে ৮’শ প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৩০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত খাদ্যসহ বিভিন্ন সহায়তা অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং এব্যপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন।