১৫ আগস্ট বাঙালীর জাতীয় জীবনে শোকের দিন। কিন্তু শোককে শক্তিতে পরিণত করতে কিছু মানুষ কাজ করে যান নীরবে। এমনি একজন হচ্ছেন ঢাকা ৪ এর মাটি ও মানুষের নেতা কৃষিবিদ ড. মো. আওলাদ হোসেন। তিনি ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব। এবারের শোকদিবসে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। শোকদিবসে তার নির্বাচনী এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্য এমন আয়োজন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ড. মো. আওলাদ শোকদিবসের শুরুতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার নির্বাচনী এলাকা শ্যামপুর-কদমতলী প্রতিটি ওয়ার্ড ও ভোটকেন্দ্রে বিভিন্ন সময়ে তিনি দোয়া, তবারক বিতরণ ও শোকসভার আয়োজন করেন। সে শোকসভায় বঙ্গবন্ধুর ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি। এসময় ৫ হাজারের অধিক মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেন । প্রায় ২১ টি স্থানে ধারাবাহিকভাবে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দোয়া ও খাবার বিতরন করেন তিনি।
ব্যতিক্রমী আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. আওলাদ হোসেন বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের মহিমা ও দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ আমাদের কর্মে প্রতিফলন করার জন্য আমার নির্বাচনী এলাকার সকল মানুষের কাছে জাতীয় শোক দিবসের বার্তা পৌঁছানোর জন্য আগে থেকেই সপ্তাহব্যাপী ৩৬ টি স্থানে স্ব স্ব ভোটকেন্দ্র ইউনিট কমিটির নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এই কর্মসুচি সমূহ পালন করার পরিকল্পনা করি। সে মোতাবেক ১৫ আগস্ট ২১ টি স্থানে এ কর্মসুচি সমূহ বাস্তবায়ন করতে পেরে ভালো লাগছে, এতে সবার সর্বাত্নক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত শোকদিবস এর কর্মসুচি পালন ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও তোবারক বিতরন কর্মসূচী পালন করা হবে।
ড. আওলাদ হোসেন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নামের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন পূরণের ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও শেখ মুজিবুর রহমান এই দুটি শব্দ একটি আরেকটির পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু সতত-সমুজ্জ্বল, সর্বত্র বিরাজমান। তিনি দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন ব্যয় করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু একজন ব্যক্তি নয়, একটি আদর্শ। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এ আয়োজনের সময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কদমতলি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মিয়া, ৫৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মহব্বত হোসেন, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌসী ইয়াসমিন পপি, কদমতলী থানা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ, প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক রাজু, ত্রান সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সদস্য শেখ নজরুল, কদমতলী থানা আওয়ামীলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শহীদ মাহমুদ হেমীসহ অনেকে।