শ্রীলঙ্কায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীকে (৮) রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ বুধবার বাদ আসর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় জায়ানের আত্মীয়স্বজন ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের বিমান ইউএল-১৮৯ ফ্লাইটে করে জায়ানের মরদেহ দেশে আসে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিশুটির লাশ গ্রহণ করেন তাঁর নানা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। এ সময় শেখ সেলিমের পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এরপর জায়ান চৌধুরীর লাশ সেখান থেকে সরাসরি বনানী ২ নম্বর সড়কে শেখ সেলিমের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেই বাড়িতে জায়ানকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা পৌনে ৩টার দিকে জায়ানকে দেখতে তাঁর ফুপাত ভাই শেখ সেলিমের বাড়িতে যান। তিনি জায়ানের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি। এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, দলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফসহ শেখ সেলিম ও শেখ হাসিনার স্বজনরা।
শেখ সেলিমের বাসায় জায়ানকে শেষবারের জন্য দেখতে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজ্জামেল হক, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
নিহত জায়ান চৌধুরী শেখ সেলিমের মেয়ে শেখ সোনিয়ার ছেলে। গত রোববার বাবার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কলম্বোর একটি হোটেলে নাশতা করার সময় বোমা বিস্ফোরণে মারা যায় জায়ান। বিস্ফোরণে জায়ানের বাবা মশিউল হক চৌধুরী আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই সময় হোটেলের কক্ষে অবস্থান করায় বেঁচে যান শেখ সোনিয়া ও তাঁর আরেক শিশু ছেলে জোহান।