লকডাউনের মধ্যেই রাজধানীর যেসব মার্কেট আগেই বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সেগুলো বাদে প্রায় সব দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তওফিক এহসান।
শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বেশিরভাগ দোকানিই মার্কেট খোলার পক্ষে মত দিয়েছে ব্যবসায়ী নেতারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা ব্যবসা করতে চায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা অনেক ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট খোলা থাকবে তুলে ধরে তওফিক এহসান জানান, এলিফ্যান্ট রোড ও নিউ এলিফ্যান্ট রোডের রাস্তার দুই পাশের সব দোকান খুলবে। সুবাস্তু মার্কেট, আইটি সেন্টার, মাল্টিপ্ল্যান খোলা থাকবে। নিউমার্কেট বাদে মিরপুর রোডের রাস্তার দুই পাশের সব দোকান এবং মোহাম্মদপুর, শ্যামলীতেও মার্কেটগুলো আংশিকভাবে খোলা থাকবে। যাত্রাবাড়ীতে যে দুটি মার্কেট আছে, সেগুলো এবং ইসলামপুর ও সদরঘাটের দোকানপাট খোলা থাকবে। এছাড়া মৌচাক-মালিবাগের দিকে অনেক মার্কেটে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মার্কেট চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে জানিয়ে। কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে আমরা প্রথমে মার্কেট খোলার পক্ষে ছিলাম না। সরকারি নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এখন দোকান খোলা হবে।
এর আগে দোকান খোলা বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জোনে মিটিং করেন দোকান মালিকেরা। এরপরই সন্ধ্যায় মার্কেটগুলোর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে সভা শেষে কোন মার্কেট কর্তৃপক্ষই একক সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি।
আগামী ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও দেশের সবচেয়ে বড় শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক নিজেদের শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও ঈদুল ফিতরের আগে মিরপুর রোডের জনপ্রিয় বিপণিবিতান গাউছিয়া ও চাঁদনী চক খুলবে না ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে চাঁদনী চক ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা একমত হয়েছে, আমরা মার্কেট খুলবো না। এ তালিকায় নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, নূর ম্যানশন, ইস্টার্ন মল্লিকা, চিশতিয়া, ধানমন্ডি হকার্স ইত্যাদি মার্কেট রয়েছে। তবে এই এলাকার আজিজ সুপার মার্কেট খোলা থাকবে।