রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে। বি এন পি সহ কিছু দল এবং নেতা রাস্তা গরম করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের দাবী দেশ ধংস হয়ে যাচ্ছে এবং দেশে কোন গনতন্ত্র নেই। সরকারকেও অবৈধ দাবী করছে তারা। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া আর কোন নির্বাচনে যাবেনা সাফ জানিয়ে দিয়েছে দলটি।
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সব নির্বাচনেই কমিশনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকারও অভিযুক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বি এন পি ভরাডুবির পর আদালতে গেছে। কোন দালীলিক প্রমান উপস্থাপন করে তারা অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি। বলেছে আদালত সরকারের পক্ষে। পুলিশকেও সরকারের বাহিনী দাবী করছে। সরকারী কর্মচারী আমলা সবাই সরকারের লোক। তাহলে বি এন পি’র লোক কে? জনগণও তো বি এন পি’র পক্ষে শ্লোগান দেয়নি। সবই যদি দলটির বিপক্ষে হয় তাহলে নির্বাচনে গিয়েও কি লাভ হবে বি এন পি’র?
তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও ব্যপক কারচুপির অভিযোগ হয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচিন কমিশন কোনটাই আসলে বি এন পি চায়না। বি এন পি চায় কেউ এসে তাদেরকে ক্ষমাতায় বসিয়ে দিবে। অস্থিতিশিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশে একটি পরাশক্তিকে আনতে চায় বি এন পি। কারন নেতারা জানে দল এখন মুলত নেতৃত্বহীন। নেতা কর্মীদের সাথে সিরিজ সভা করেও কোন যৌক্তিক দাবী প্রস্তুত করতে পারেনি। কেউ কেউ দাবী করেছে প্রেসিডেন্টকে দিয়ে ১০ জন উপদেষ্টা গঠন করে নির্বাচনের দাবী করার। সরকারের বিরুদ্ধে বিষদগার করেই নেতারা দায় সারাতে চায়। এমন হ য ব র ল অবস্থায় রাজনৈতিক দলের গ্রহনযোগ্যতাটি বোঝে কর্মীবাহিনীও। তাইত তারা নিষ্ক্রিয়। দল হিসাবে বি এন পি এখন রহস্যময় জাতির কাছে।
আজিজুর রহমান প্রিন্স,
কলামিস্ট, টরন্টো, কানাডা।