রমজান কে সামনে রেখে দেশে বিপুল পরিমাণ ভোগ্য পণ্যের আমদানি করা হয়েছে। খেজুর আর ডাল কিছুটা কম এলেও, গত মৌসুমের চেয়ে ইতোমধ্যে বেশি এসেছে চিনি, তেল ও ছোলা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোনো কোনো পণ্য কম আমদানি হলেও রোজায় চাহিদা মেটানোর জন্য তা পর্যাপ্ত। তাই সংকটের কোনো সুযোগ নেই।
এক মাসের খানিকটা বেশি সময় বাকি রমজানের। তাই আমদানি হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় নানা পণ্য। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে ৪০ হাজার ২৮৮ টন ছোলা নিয়ে খালাসের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ২টি জাহাজ। রয়েছে ১৫ হাজার ৩৫১ টন ভোজ্যতেলবাহী ২টি ও ২৭ হাজার ১৪১ টন চিনিবোঝাই একটি জাহাজ।
চলতি মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে বাল্কে আসা ছোলা, ডাল, তেল, খেজুরসহ ভোগ্যপণ্য খালাস হয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৮ টন। ডিসেম্বরে যা ছিল ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৯ টন। আর কন্টেইনারে করে জানুয়ারিতে আসে ৪৫ হাজার ৭৬৪ টন। তার আগে ডিসেম্বরে পৌঁছায় ৩৬ হাজার ৮৩৮ টন ভোগ্যপণ্য।
স্বস্তির খবর, সবশেষ গেল ৪ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চিনি, খেজুর, তেল, ডাল ও ছোলা আমদানি হয়েছে ৯ লাখ ৯০ হাজার ৯১৫ টন। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পরিমাণে ওঠানামা করলেও চাহিদা বিবেচনায় তা পর্যাপ্ত। এতে করে সব পণ্যেরই মজুতে নেই ঘাটতি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, অনেক পণ্য ইতোমধ্যে এসেছে। আবার কিছু পণ্য পাইপলাইনে আছে, যেগুলো আনা হচ্ছে আমাদের বন্দরের মাধ্যমে। যখনই এ ধরনের খাদ্যপণ্য আসে, তখন আমরা সেটাকে স্পেশাল পার্টিতে দেখি সবসময়। সেই জাহাজকে আমরা স্পেশাল পার্টি দিয়ে খালাস করি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, মূলত বিলাসবহুল পণ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা রেসট্রিকশন (বিধিনিষেধ) আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আমরা কোনো রেসট্রিকশন দেখতে পাচ্ছি না। যে কারণে গত বছরে যেভাবে পণ্য আমদানি হয়েছে, এবারও সেভাবেই আমদানি হচ্ছে।
ডলার সংকটে এবার রমজানকে ঘিরে এলসি খোলা হয় তুলনামূলক কম। তবে যা হয়েছে, তাতে বেশি সুযোগ পেয়েছে বড় গ্রুপগুলো। যাদের হাত ধরে আমদানিও হয়েছে গেলবারের চেয়ে বেশি। কাজেই সংকটের কোনো কারণ নেই।
রমজানে দেশে ছোলার চাহিদা ১ লাখ ২০ হাজার টনের মতো। পাশাপাশি চিনি ৩ লাখ আর ভোজ্যতেল লাগে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টন। এছাড়া খেজুরের চাহিদা থাকে ৫০ হাজার টনের।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম