জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো চিটাগং ভাইকিংসকে। মুশফিকুর রহিমের দলকে করতে হতো ২৪০ রান। না, পারল না অসাধ্য সাধন করতে, বিপিএলের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ টপকে জিততে পারেনি তারা। তাই অনুমিতভাবেই জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার রংপুর রাইডার্স। তারা জিতেছে ৭২ রানের বিশাল ব্যবধানে।
অবশ্য আসরে দুই ফেভারিট দলের লড়াইটি দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ম্যাচটি হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে এমনটাই ধরে নিয়েছিল সবাই। তা মোটেও হয়নি, একপেশে জয় তুলে নিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে রংপুরের করা ২৩৯ রানের জবাবে চিটাগংয়ের ইনিংস থামে ১৬৭ রানে। স্থানীয় দলটির হয়ে ওপেনার ইয়াসির আলী ৪৮ বলে ৭৮ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে দলের হারের ব্যবধান কমিয়েছেন মাত্র।
এর আগে ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশোর অসাধারণ দুটি সেঞ্চুরির ওপর ভর করে এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে রংপুর। এটি শুধু এবারের আসরেই নয়, বিপিএলেরও সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
এর আগে বিপিএলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ঢাকা ডায়নামাইটসের। ২০১৩ সালে এই রংপুরের বিপক্ষে ২১৭ রান করেছিল তারা। এবারের তাদের ছাড়িয়ে গেছে রংপুর।
আর এবারের আসরে সবচেয়ে বড় সংগ্রহ ছিল চিটাগং ভাইকিংসের। মুশফিকুর রহিমের দল করেছিল ২১৪ রান, খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে। তাই রংপুর এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে অনেকগুলো রেকর্ড ভেঙেছে।
আর তা সম্ভব হয়েছে দুই বিদেশি ব্যাটসম্যানের চমৎকার দুটি সেঞ্চুরিতে। মাত্র ৪৮ বলে ১০০ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন অ্যালেক্স। যাতে ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার রয়েছে।
তারপরই তিন অঙ্কের কোটায় নিজের নাম লেখান রুশো। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫১ বলে ১০০ রান করেন। আসরে এর আগে প্রথম শতক হাঁকিয়েছিলেন রাজশাহী কিংসের ইংলিশ ব্যাটসম্যান লরি ইভান্স।
চিটাগংয়ের বোলাররা এদিন ছিলেন অনেকটাই অসহায়। এক আবু জায়েদ রাহি ছাড়া কোনো বোলারই রংপুর ব্যাটসম্যানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। রাহি দুই উইকেট নিয়েছেন।
এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে রংপুর। আর চিটাগং এক ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরেই রয়েছে।