নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম :-শীতের সবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গাজর। অনেকে গাজর কে ফল বলেও মনে করেন। গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে। কাচা অবস্থায় সালাদ বানিয়ে আর রান্না করে ও এটি খাওয়া যায়। নিয়মিত গাজর খেলে অনেক জটিল রোগ থেকে বেচে থাকা সম্ভব। এবার গাজরের কয়েকটি পুষ্টি গুণ সম্পর্কে জেনে নেই।
১. চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় গাজরের ভূমিকা অন্যতম।গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন যা পরর্বতীতে ভিটামিন এ তে রুপান্তরিত হয়। এ ভিটামিন এ চোখের রেটিনা গঠনের সহায্য করে। গাজর শিশুদের রাতকাণা রোগ প্রতিরোধ করে।
২. গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন এক ধরনের এ্যান্টি অকিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটা আমাদের কোষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে।
৩. গাজরে প্রচুর পরিমাণে আশ রয়েছে। এ কারণে নিয়মিত গাজর খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. গাজর ডায়াবেটিস রোগিদের রক্তে ইনশুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিস জনিত জটিলতা এড়াতে নিয়মিত গাজর খেতে পারেন।
৫. গাজর মরনব্যাধী ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাজরে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী ফ্যালকারীনল ও ফ্যালকারিডিওল যা ফুসফুস, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৬. গবেষনায় দেখা গেছে গাজর খেলে রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। ফলে স্টোকের ঝুঁকি কমায়।
৭. গাজর ভালো জিবানুনাশক হিসেবে কাজ করে। কোথাও কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে সেখানে কুচি করা গাজর অথবা সেদ্ধ করা গাজর পেষ্ট করে লাগিয়ে দিন। এতে জীবানু সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
৮. গাজরে থাকা আন্টি এক্সিডেন্ট মস্তিষ্ক কোষের স্বাভাবিক সংবেদনশীলতা রক্ষা করে ও সজীবতা বজায় রাখে। এটি বৃদ্ধ বয়সে মস্তিষ্কের আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৯. দাঁত ও মাড়ির যত্নে গাজর অতুলনীয়। এর জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। এছাড়া গাজর মাড়িকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
১০. গাজরের ভিটামিন এ লিভারে গিয়ে শরীর থেকে নানা ধরনের টক্সিন জাতীয় খারাপ উপাদান বের করে দেয়। এছাড়া গাজর লিভার থেকে অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে দিতে ও সাহায্য করে।