চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে ৫ গোল করে লিওনেল মেসির একটি রেকর্ড স্পর্শ করেছেন আর্লিং হালান্ড। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়েছিলেন লিওনেল মেসি।
২০১২ সালে শেষ ষোলোর ম্যাচেই বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে বার্সেলোনার ৭-১ গোলের বিশাল জয়ে একাই ৫ গোল করেছিলেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড (একই কীর্তি আছে ব্রাজিলিয়ান লুইস আদ্রিয়ানোর, ২০১৪ সালে শাখতার দোনেৎস্কের জার্সিতে)। ওই সময় বার্সার প্রধান কোচ ছিলেন টিটো ভিলানোভা।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এবার লাইপজিগের বিপক্ষে হালান্ড যখন একাই ৫ গোল করলেন, তখন কোচের ভূমিকায় গার্দিওলা। যিনি আবার এক সময় বার্সায় মেসিদের কোচ ছিলেন। ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান কোচ দলের মূল তারকাকে অবশ্য অনেকটা সময় বাকি থাকতেই তুলে নেন। যা অবাক করেছে অনেককেই। কারণ ডাবল হ্যাটট্রিকের দারুণ সুযোগ ছিল তার সামনে। এমনটা হলে মেসির রেকর্ড ছাপিয়ে ইতিহাসে জায়গা করে নিতেন তিনি। হতে পারতেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এক ম্যাচে ডাবল হ্যাটট্রিকের দেখা পাওয়া প্রথম খেলোয়াড়।
৬৩তম মিনিটে মাঠ ছাড়ার সময় গার্দিওলাকে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে আসেন হালান্ড। ম্যাচ শেষে সেকথা স্বীকারও করেছেন তিনি, ‘তুলে নেওয়ার সময় আমি তাকে (পেপ গার্দিওলা) বলেছি যে, ডাবল হ্যাটট্রিক করতে পারতাম।’ তবে পরে কেন হালান্ডকে এত আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন গার্দিওলা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মাত্র ২২-২৩ বছরেই যদি সে এত বড় মাইলফলক গড়ে ফেলে, তাহলে বাকি জীবন তার বোরিং লাগবে। ভবিষ্যতে তার সামনে কোনো লক্ষ্য থাকবে না। এজন্য তাকে তুলে নিয়েছি।’
হালান্ডের সামনে মেসির রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ছিল, সে কথা জানতেন গার্দিওলা, ‘আমি লেভারকুসেনের বিপক্ষে মেসির ৫ গোল করার ব্যাপারটা জানতাম। আমি বদলি নামিয়েছি, কারণ খেলা যখন একপ্রকার শেষ; তখন বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সুযোগ দেই। সমস্যাটা হলো, আমরা যখন প্রতি ম্যাচেই দুই-তিনটা গোল করতে না পারবো, তখন কিন্তু তার সমালোচনা হবে। এটাই বাস্তব।’