করোনাভাইরাসে সারাবিশ্ব আতঙ্কিত। এরই মধ্যে এদেশেও অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রাণঘাতী এ ব্যাধিতে। আবার এই রোগ থেকে অনেকে সুস্থও হয়ে উঠেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারাই কেবল এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে উঠতে পারেন।
আর যারা আগে থেকেই ডায়াবেটিস, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপসহ হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে সবচেয়ে বেশি। তাই এই ভাইরাস মোকাবিলায় আগে থেকেই আপনার রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পুষ্টিকর খাবার খান। যে খাবারগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় সেসব খাবার বেশি খান।
যাদের কিডনিজনিত নানা সমস্যা রয়েছে জেনে নিন তারা কোন খাবারগুলো বেশি খাবেন। এই খাবারগুলো আপনার কিডনির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও কিডনির যত্নে অত্যধিক পরিমাণে সোডিয়াম এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত চর্বি এবং ভারী প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।
বাঁধাকপিঃ ফাইটোকেমিক্যালস দিয়ে ভরা সবজিতে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি,ভিটামিন বি-৬, ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এছাড়াও ফাইটোকেমিক্যালস জাতীয় এ সবজি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করতে সহায়তা করে। বাঁধাকপিতে কম পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা কিডনি সুস্থ রাখে।
লাল ক্যাপসিকামঃ পটাশিয়াম থাকায় এটি কিডনির জন্য খুবই ভালো। রক্তে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকলে কিডনির পক্ষে এটিকে নির্মূল করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হতে পারে। লাল ক্যাপসিকামে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যেমন-ভিটামিন সি, এ, বি ৬, ফলিক অ্যাসিড এবং ফাইবারের মতো অন্যান্য পুষ্টি। যা আপনার কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। সালাদে বা রান্নায় প্রতিদিন কিছুটা লাল ক্যাপসিকাম খেতে পারেন।
রসুনঃ এই ভেষজটি তার আশ্চর্যজনক মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যের কারণে সামগ্রিক কিডনি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। সীসা জাতীয় ভারী ধাতুগুলোর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে কিডনিকে সুরক্ষা দেয় রসুন। এছাড়াও শরীরের প্রদাহ কমাতে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং কোলেস্টেরল কমিয়ে আনতে এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
ফুলকপিঃ বাঁধাকপির মতোই ফুলকপি কিডনির যত্নে খুবই উপকারী। এছাড়াও কিডনির দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানে এই সবজি দুর্দান্ত কাজ করে। তাই কিডনির সুস্থতায় আপনি নিয়মিত ফুলকপি খেতে পারেন।
পালংশাকঃ পালংশাক শরীরে স্বাস্থ্যকর এপিথিলিয়াল টিস্যু উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ এর একটি দুর্দান্ত উৎস। যা কিডনি এবং মূত্রনালীর মধ্যে ছোট পরিস্রাবণ নলগুলোকে পরিষ্কার করে। তাই কিডনিজনিত রোগে যারা ভুগছেন। তারা নিয়মিত পালংশাক ডায়েটে রাখুন।
পেঁয়াজঃ সালফার এবং ফ্ল্যাভানয়েডযুক্ত, পেঁয়াজে কোরেসেটিন রয়েছে। যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এটি হৃদরোগ কমাতে কাজ করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। পেঁয়াজে খুব কম মাত্রায় পটাশিয়াম রয়েছে এবং পেঁয়াজ ক্রোমিয়ামের একটি ভালো উৎস। যা শরীরে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করে। এতে আপনার কিডনি স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
মিষ্টি আলুঃ ভিটামিন এ, বি-৬, সি, বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার এবং পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস মিষ্টি আলু। যা আপনার শরীরের অন্যান্য সমস্যা সমাধান করে কিডনির সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও মিষ্টি আলু শরীরে সোডিয়াম মাত্রা সামঞ্জস্য বজায় রাখা এবং কিডনির উপর তার প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
মূলাঃ মূলা অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং প্রচুর ওষধি বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি সবজি। এতে ক্যালোরি অবিশ্বাস্যভাবে কম। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কিডনিতে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার করতে এবং কিডনিকে যে কোনো সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। সূত্র:বোল্ডস্কাই।