মুন্সীগঞ্জ জেলার তৌসিফ শাহারিয়ার দ্বীন। তিনি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। এতে নিজের জীবন এবং আয়-উপার্জনে বেশ খুশি তৌসিফ। গত চার বছর ধরে সেখানে আছেন তিনি।
‘বেতনের দিক থেকে এই দেশ এগিয়ে। জীবনমান এখানে অনেক উন্নত। আমার প্রতি মাসের বেতন এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আর ওভারটাইম করলে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হয় মাসে। এই দেশে কাজ করলে অন্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো পরিস্থিতিতে থাকা যায়। দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো যায়।
তৌসিফ শাহারিয়ার দ্বীন
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘বেতনের দিক থেকে এই দেশ এগিয়ে। জীবনমান এখানে অনেক উন্নত। আমার প্রতি মাসের বেতন এক লাখ ২০ হাজার টাকা। আর ওভারটাইম করলে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হয় মাসে। এই দেশে কাজ করলে অন্য দেশের চেয়ে অনেক ভালো পরিস্থিতিতে থাকা যায়।
দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো যায়।’ তৌসিফ শাহারিয়ার দ্বীন ইসলামের মতো আরও শত শত বাংলাদেশি এখন অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে উন্মুখ। মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে যখন বাংলাদেশিরা নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে, তখন সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া এক আদর্শ শ্রমবাজার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশের সামনে।
অভিবাসী কর্মীর সংখ্যার দিকটা বিবেচনা না করে যদি আপনি জীবনমান, বেতন এসবের কথা চিন্তা করেন, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া এখন এক নম্বরে আছে। কারণ যারা যাচ্ছে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কোম্পানি সিলেক্ট করে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের বেতন এক লাখের উপরে। ওভার টাইমে যে টাকা পান সেটা দিয়ে বেতন আরও বেশি হয়।
মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস
বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়া এখন অনেকের পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের কর্মীরা যেসব দেশে কাজ করছেন তার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সেরা।
তিনি বলেন, ‘অভিবাসী কর্মীর সংখ্যার দিকটা বিবেচনা না করে যদি আপনি জীবনমান, বেতন এসবের কথা চিন্তা করেন, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া এখন এক নম্বরে আছে। কারণ যারা যাচ্ছে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কোম্পানি সিলেক্ট করে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের বেতন এক লাখের উপরে। ওভার টাইমে যে টাকা পান সেটা দিয়ে বেতন আরও বেশি হয়।’