মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজিতে মেতেছিলেন মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক যুবলীগনেতা এডভোকেট গৌছ উদ্দিন নিক্সন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। দলের প্রভাব বিস্তার করে, মৌলভীবাজার বিআরটিএ অফিস, পাসপোর্ট অফিস, ভূমি অফিস, বালুমহাল-জলমহাল, থানায় মামলা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অফিসে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেন এর প্রিয়ভাজন হবার সুবাদে কেউ ভয়ে মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে পারে নি। ফ্যাসিস্ট সরকারের নামধারী এডভোকেট গৌছ উদ্দিন নিক্সন মামলার ভয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেলেও ক্ষমতার দাপট এখনো কমেনি চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অপকর্ম। তাই অপকর্মের ভাবে আদালত পাড়াসহ অন্যান্য স্থানে কোনো এক অদৃশ্য কারণে সে এখনো এলাকায় চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার পোষা লোকবল তৃণমূল পর্যন্ত ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে আছে। একটি সুত্র জানায়- চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে সহযোগিতায় ছিল স্থানীয় কিছু যুবক।
থানায় মামলা, নতুন বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করতে হলে দিতে হতো মোটা অংকের চাঁদা। চাঁদার টাকা না দিলে তাদের ওপর নেমে আসত ব্যাপক জুলুম-নির্যাতন। বিএনপি-জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের থানায় নিয়ে এসে অমানুষিক নির্যাতন, রাজনৈতিক মামলার ভয় দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বিরোধীদের দমন-পীড়নে জড়িত কট্টর আওয়ামীপন্থি পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত ওসি, ওসি তদন্ত ও এসআইদের সাথে ছিলো সখ্যতা। কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারে নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান-ফ্যাসিস্ট এডভোকেট গৌছ উদ্দিন নিক্সন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার দায়েরকৃত মামলায় আসামি আত্বগোপনে চলে গেলেও সে ও তার অনুসারীরা বর্তমানে ও প্রভাব বিস্তার করছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা নিক্সন’কে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবী জানান।
আজ ২৪শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:১০ | বুধবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি