গাজায় গতকাল শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। চারদিনের এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে গাজায় প্রায় ২০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে।
প্যালিস্টিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, একদিনে রাফাক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করা ১৯৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক সেখানে পৌঁছেছে। খবর আল জাজিরা
এক্স পোস্টে সংস্থাটি জানায়, প্রবেশ করা ট্রাকগুলোর মধ্যে আটটিতে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ ও হাসপাতালের বিছানা রয়েছে। বাকিগুলোতে খাবার, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা রয়েছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে হামাস ১৩ ইসরায়েলিসহ মোট ২৪ জনকে মুক্তি দিয়েছে। অপর দিকে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে ৩৯ ফিলিস্তিনি। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে এসব জিম্মিদের আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবা সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৩৯ ফিলিস্তিনি নাগরিকের মধ্যে ২৪ জন নারী ও ১৫ জন তরুণ। অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেইতুনিয়া চেকপয়েন্ট দিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফিলিস্তিনিদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গাজা উপত্যকার নুসেরাত শরণার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা হামজা ইব্রাহিম বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর গাজার ফিলিস্তিনিরা আনন্দিত একইসঙ্গে তারা আবার দুঃখিতও। হামজা ইব্রাহিম বলেন, অব্যাহত বোমা হামলার মধ্যে মানুষ যে কষ্ট এবং আতঙ্কে ছিল, এই যুদ্ধবিরতি সেই কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাত্যাহিক কাজ করতে পারব এবং পরিবারের সঙ্গে আবারও পুনর্মিলিত হতে পারব। এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য আনন্দের। তবে ফিলিস্তিনিরা আবারও দুঃখিতও কারণ, যুদ্ধবিরতির পর আবারও সেই ‘দুঃস্বপ্ন’ ফিরে আসবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম