সাম্প্রতিক ভারত-চীন সামরিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ভৌগলিক কারনে বাংলাদেশের ভাবনাটি যৌক্তিক। নেপাল কালাপানি দাবী করে সংসদে বিল পাশ করেছে। ভারতের অভ্যান্তরে ঢুকে গুলি চালিয়েছে সেনাদের উপর। বৃহত শক্তির ইন্দন ছাড়া নেপালের পক্ষে ভারতকে আক্রমন করা অসম্ভব ব্যাপার। পাকিস্তান কাস্মির সিমান্তে সৈন্য মোতায়ন করে রেখেছে। যূদ্ধ বাঁধলে পাকিস্তান চীনের পক্ষ নিবে আগেই ঘোষনা দিয়ে রেখেছে। মায়ানমারের রোহিংগা বিষয়ে বাংলাদেশের সংগে কুটনৈতিক সম্পর্ক ভাল নয়। মোদি সরকার বার বার হুমকি দিচ্ছে চীনকে।সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দেশই।
কিছুদিন আগে ভারত পাকিস্তানের সংগে যূদ্ধ করে কূটনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। অভ্যান্তরিন রাজনীতিও মোদি সরকারের পক্ষে নয়। করোনায় বিপর্যস্থ ভারত যূদ্ধে গেলে পরিনিতিটি কি হবে বলা মূশকিল। চীন বাংলাদেশকে ৯৭% রপ্তানি পন্যের কর শিথিল করেছে। চীনের সংগে বাংলাদেশের এই বানিজ্যিক সম্পর্কটি ভারত ভালোভাবে গ্রহন করনি। এমতাবস্থায় সত্যিই যদি ভারতের সংগে চীনের যূদ্ধ বেধে যায়, বাংলাদেশ কার পক্ষ নিবে তার উপর নির্ভর করবে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মিয়ানমারের সামিরিক শক্তিটি অগ্রাহ্য করা যাবেনা। চীন এবং রাশিয়া দুই দেশের সংগেই মায়ানমারের সুসম্পর্ক রয়েছে। রোহিংগা সমস্যাটি সেই কারনেই ঝুলে আছে বলে অনেকে ধারনা করছেন। ভারত বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র। আর চীন বিশ্বের পরাক্রমশীল দেশের একটি। বানিজ্যিকভাবে চীন এখন বাংলাদেশের বন্ধুদেশ। শক্তিশালি দুই দেশের যূদ্ধ প্রস্তুতি বাংলাদেশকে এখন ভাবনায় ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্টের ট্রাম্প প্রশাসন চীনের ব্যপারে নেতিবাচ ভুমিকা দেখাচ্ছে। রাশিয়ার সংগে চীনের সম্পর্ক এখন অর্থনৈতিক কারনে মন্দনা। আবার রাশিয়া ভারতেরও বন্ধু দেশ। রাশিয়া কোন প্রতিক্রিয়া না দেখালেও যুদ্ধ বেধে গেলে চুপ থাকবে মনে হয়না। শুধু রাশিয়া না অনেক দেশই জড়িয়ে পরবে। তাহলে কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখান থেকেই শুরু হবে? যুদ্ধ শুরুহলে বাংলাদেশই হবে লক্ষ্যকেন্দ্র। বংগপোসাগর হবে নৌবহরের উপযুক্ত জায়গা। সভ্যতার তাগিদে তৃতীয় বিশ্বযূদ্ধ কাম্য নয়, আমাদের জন্য একেবারেই নয়। করোনার কারনে বিগত ১১ বছরের দেশের অর্জন এখন ঝুঁকির মূখে। দেশের বিরোধী দলের নেতারা যেভাবে বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন তা, দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। সম্প্রতি দেশ থেকে বিত্ত্বশালি মানূষদের প্লেন চার্টার করে বিদেশে পালানোর ইংগিতটিও শুভ নয়। বর্তমান সরকার অভাবনিয় উন্নয়ন দেখিয়েছে দেশে। এর ফল ভোগ করবে ভবিষ্যত প্রজন্ম। রাজনীতি ভুল হলে তার ফলও আগামী প্রজন্ম অনুভব করবে। তাই রাজনৈতিক নেতাদের কাছে দায়িত্ত্বশীল বক্তব্য প্রত্যাশা করি। কোভিড-১৯ পৃথিবীর চরিত্র বদলে দিয়েছে। এখন নুতন বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখেই রাজনীতি চলবে নাহয়, চরম দূঃসময় মোকাবেলা করতে হবে সকলের।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
১৯ জুন ২০২০