ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে নতুন করে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামাজান শরিফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ক্ষণিকের এ আনন্দ-উল্লাস শোকে পরিণত হবে। শুক্রবার মার্কিন হামলায় অভিজাত এ বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল সোলাইমানি নিহত হন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত নাম মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি।
তিনি ছিলেন বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট ইউনিট কুদস ফোর্সের প্রধান। বলা হচ্ছে, দেশের বাইরে ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় সোলাইমানি ছিলেন মূল ব্যক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণেও তার ভূমিকা ছিল।
বিবিসি লিখেছে, গত দুই দশক ধরে ইরাক, ইয়েমেন, সিরিয়া ও লেবাননের মতো দেশে শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর শক্তিশালী হয়ে ওঠার পেছনে তিনিই ছিলেন প্রধান রূপকার। এর মোকাবিলায় তেহরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরব, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে বেগ পেতে হয়েছে। ফলে বহুদিন ধরেই তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ‘টার্গেট’।সূত্র : সময় নিউজ