প্রাণঘাতী এক অদৃশ্য শক্তি হচ্ছে করোনাভাইরাস। এই অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে দেশটির প্রায় ১১ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬৪ হাজার মানুষের।
প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে টানা লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গোটা আমেরিকা। তবে এই টানা অচলাবস্থা আর মেনে নিতে পারছে না দেশটির মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দারা। লকডাউন তুলে নিতে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্রেটচেন হোয়াইটমারের বিরুদ্ধে রাজধানী ল্যান্সিংয়ে বৃহস্পতিবার কয়েকশ’ জনগণ সশস্ত্র বিক্ষোভ করেছে।
বিক্ষোভে অনেককে মাস্ক ছাড়া বের হতে দেখা যায়। অনেককে দেখা যায় বুকে বন্দুক জড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে।
বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ রাজ্যের আইনসভা হাউস চেম্বারেও প্রবেশের চেষ্টা চালান। পুলিশ সদস্যদের পর্যন্ত আটকে দেয় তারা। চিৎকার করে বলতে থাকেন- “আমাদের প্রবেশ করতে দিন।” অবশ্য এ সময় রাজ্যের সিনেট অধিবেশনে কমসংখ্যক সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে সার্জেন্টদের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিনেটর ডায়ানা পোলজেনস্কি। টুইটে লিখেছেন, “আমার ওপর নিয়ে, মানুষজন বন্দুক নিয়ে আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল। আজ থেকে এখন আমি আর আমাদের অস্ত্রধারী সার্জেন্টদের প্রশংসা করতে পারব না।”
যুক্তরাষ্ট্রে এটাকে লকডাউন বিরোধী সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হিসেবে দেখা হচ্ছে। লকডাউন বিরোধী এসব বিক্ষোভকারী মূলত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসারী।
করোনাভাইরাস সংকট যুক্তরাষ্ট্রে কমে আসার তেমন কোনো আভাস না পাওয়া গেলেও লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পক্ষে ট্রাম্প। এরই মধ্যে বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সূত্র: এনবিসি নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান।