যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিন শহরে পুলিশের গুলিতে ২৬ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ তরুণী ব্রিয়োনা টেলর নিহতের প্রতিবাদে শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। ওই তরুণীকে হত্যায় কাউকে দোষী সাব্যস্ত না করার সিদ্ধান্তের পরই বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে।
গত বছরের ১৩ মার্চ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় নিজ ফ্ল্যাটে গুলিতে নিহত হন টেইলর। তার শরীরে পাঁচটি গুলির ক্ষত পাওয়া যায়। লুইভিনের পুলিশ প্রধান রোবার্ট স্ক্রোডার জানিয়েছেন, দুই পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের অবস্থা তেমন গুরুতর নয়।
এ ঘটনায় সন্দেহজনক একজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডও।
সংবাদ সংস্থার খবর, পুলিশ কর্মকর্তারা পরোয়ানা ছাড়াই অভিযান চালিয়ে হত্যা করেছিল ২৬ বছর বয়সী টেলরকে। ঘটনার দিন যার খোঁজে পুলিশ ওই অ্যাপার্টমেন্ট অভিযান চালায় তিনি সেখানে ছিলেনই না। সেই অ্যাপার্টমেন্টেও কোনও মাদকও পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ অফিসার হ্যানকিসনকে লুইসভিল মেট্রো পুলিশ বিভাগ থেকে গত জুন মাসে বরখাস্ত করা হয়।
তদন্তে দেখা যায়, তিনি অভিযানের সময় কারণ ছাড়াই ১০টি গুলি ছুড়েছিলেন। অন্য দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক দায়িত্বে ফের নিযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।