তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলাঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাসিন্দা নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তার নাম শেখ মোহাম্মদ আব্দুল নুর,তিনি উপজেলার ১ নং মির্জাপুর ইউপি শহরশ্রী গ্রামের মৃত ইয়ান উদ্দিনের ছেলে এবং ওই চেয়ারম্যানের মামাত্ব ভাই।
গত বুধবার (৫ মে) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ফুফাত্ব ভাই ও ১নং মির্জাপুর ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান সুফি মিয়ার বিরুদ্ধে প্রবাসির বাবার ৮টি দোকান কোটা দখল রেখে তাদের সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করতে বাধা, সম্পদ ভাগ-বাটোয়ারা করতে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী, উত্তরাধিকারী সার্টিফিকেট দিতে তাল-বাহানা এবং দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে যে কোন সময় তার উপর আক্রমন হতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় গত ২২এপ্রিল একটি সাধারন ডায়েরী করেন বলেও জানান ওই প্রবাসি।
এসময় প্রবাসির সাথে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার বাসিন্ধা ও উনার ভায়রা ভাই ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং একই জেলার বাসিন্ধা ও শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মাও. ফজলুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩০ বছর যাবত তিনি লন্ডনে প্রবাস জীবন পার করছেন। ২০১৪ সালে তাঁর বাবা মারা যান এবং ২০১৯ সালে মা মারা যান। প্রবাসির বাবা তাঁর মাকে ছাড়াও আরো দু’টি বিয়ে করেন। সব মিলিয়ে তারা ১৩ ভাই বোন। তাদের বাবা প্রায় ৯০ একর জমি রেখে গেছেন। এর মধ্যে বাগান, বাড়ি, মার্কেট এবং ফসলি জমি রয়েছে।
তিনি জানান, তাঁর বাবা মারা যাবার পর থেকে এ পর্যন্ত ৭বার তিনি দেশে এসেছেন। সর্বশেষ দুই মাস আগে দেশে আসেন। প্রতিবারই তিনি তাঁর বাবা ও মায়ের নামিয় সম্পদ ভাগ-বাটোয়ারা ও বিক্রি করতে দেশে আসেন। কিন্তু প্রতিবার’ই তাঁর ফুফাত্ব ভাই মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাঁধা সৃষ্টি করেন।
এ ব্যাপারে ১নং মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাথে যোগাযোগ সূত্রে, সুফি মিয়া সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, “সে আমার মামাত্ব ভাই। তাঁর সম্পদ ভাগ-বাটোয়ারা করবে বা বিক্রি করবে তাতে আমার কি ? আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলে থানা পুলিশ এলাকায় এসে তদন্ত করে গেছে। কই তখন তো এলাকার কেউ আমার বিরুদ্ধে কিছু বলে নাই। সে আমার কাছে তাদের উত্তরাধিকারী সার্টিফিকেট নিতে আসে, আমি তাদের সকল ভাই বোনদের নামে সার্টিফিকেট দিতে চাইলে সে সুবিধা নিতে শুধু তাঁর আপন বোনদের যুক্ত করে সার্টিফিকেট নিতে চেয়েছিল। আমি সেটা দেইনি বলেই সে আমার বিরুদ্ধে এসব করছে বলে অভিযোগ তুলছে।