আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাজ্যের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে স্টিভ বার্কলে ও অর্থ মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নাদিম জাহাভি। আজ বুধবার (৬ জুলাই) দেশটির গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দুই পদ থেকে পদত্যাগ করেন সাজিদ জাভিদ ও ঋষি সুনাক। আর এ ঘটনার পরপরই দেশের অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদে নতুন দুজনকে নিয়োগ দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, কনজারভেটিভ এক এমপির বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পরও সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে সরকারের ডেপুটি চিফ হুইপ করা হয়। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে, তোপের মুখে গত মঙ্গলবার ক্ষমা চান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে আমি ভুল করেছি।’
এদিকে জনসনের ক্ষমা চাওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তারা দুজনই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে পদত্যাগের কারণ জানান। একইসঙ্গে প্রশাসন পরিচালনায় জনসনের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
অর্থমন্ত্রী সুনাক তার পদত্যাগপত্রে লেখেন, সরকার থেকে চলে যেতে কষ্ট হলেও, এভাবে চালিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ বলেন, জাতীয় স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর শাসন পরিচালনার সক্ষমতার ওপর আইনপ্রণেতা এবং জনগণ আস্থা হারিয়েছে। জনসনের নেতৃত্বে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।
উল্লেখ্য, করোনার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে পার্টি করাসহ সাম্প্রতিক নানা অভিযোগ এবং সবশেষ গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রীর পদত্যাগকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য শেষ ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।