দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে গ্রেফতার তারেক পরের বছর ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তি নিয়ে লন্ডনে যান। তারপর থেকে স্ত্রী-কন্যা নিয়ে সেখানেই রয়েছেন তিনি।
ঢাকা সফরররত যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এ তথ্য দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে কথা না বলার তার সরকারের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানিয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি রাজনীতিকদের ‘হাতে নেই’ বলে জানান ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তিও নেই, যা বিষয়টিকে ‘আরও জটিল’ করেছে বলে মনে করছেন তিনি।
তারেক একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলা, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা এবং মুদ্রা পাচারের এক মামলায় দণ্ডিত। দেশে ফিরলে তাকে যাবজ্জীবন সাজা খাটতে হবে।
এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে তার দণ্ড কাযর্করের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক রয়েছে। আগামী দিনেও এ সহযোগিতা থাকবে। এক্ষেত্রে ব্রেক্সিট কার্যকর হলেও সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
এছাড়া তিনি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে বলেন, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দেশে জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। এটি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এটি উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক মানের হয়নি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনটি আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নে সুশাসন জরুরি। সুশাসন না থাকলে উন্নয়নের সুফল সবাই পায় না। আর শক্তিশালী গণতন্ত্রের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব।
তার মতে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। না হলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে না।
তিনি বলেন, ভোটাররা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে না পারলে অন্যপথে যাবে। এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি ও ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও বিরোধী দলকে কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।