অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বেসিক ব্যাংকের টাকা নিয়ে যাঁরা ফুর্তি করেছেন, তাঁদের কোনো মাফ নেই। সমস্যায় থাকা বেসিক ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা ব্যাংকের টাকা নিয়ে গেছেন, তাঁদের চিনি না, এটা হতে পারে না। যাঁদের ঠিকানা আছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চেয়ারম্যান ও এমডি আমাকে দেবেন। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় দেখব। আইনি প্রক্রিয়ায় কী করা যায় দেখা হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে কষ্ট দেওয়া হবে না। তবে কেউ টাকা না দিলে তাঁর জীবন শান্তিতে রাখা হবে না। ইচ্ছাকৃতভাবে যাঁরা টাকা নিয়ে গেছেন, ব্যাংকাররা বিভিন্ন কারণে তাঁদের খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে আমরা বের করব। কেউ অন্যায় করে এখন যদি স্বীকার করেন অন্যায় করেছি, তাঁদের মাফ করে দেওয়া হবে। তবে টাকা নিয়ে যাঁরা ফুর্তি করেছেন, তাঁদের কোনো মাফ নেই।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হককে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বেসিক ব্যাংকে যান অর্থমন্ত্রী। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আলম ব্যাংকের ২০০৯ থেকে ২০১৪ এবং বর্তমান পরিস্থিতির একটি চিত্র তুলে ধরেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর হাতে ক্রেস্ট দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকটি ভালো হলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি পিকনিক করবেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসিক ব্যাংকে অনেক ঠিকানাবিহীন ঋণ আছে। ভবিষ্যতে কেউ আর ঠিকানাবিহীন থাকবেন না। তাঁদের খুঁজে বের করে প্রত্যেকের পেছনে একজন করে এজেন্সির লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে যাঁরা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া টানা তিন বছর যেসব শাখা লোকসানে আছে, সব শাখা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বিদ্যমান বেতন কমানো এবং যেসব কর্মকর্তা কথা শোনেন না, তাঁদের বিদায় করে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়।
সুত্র : প্রথম আলো