মোঃলোকমান হোসেন,যশোর প্রতিনিধি:—যশোরের শার্শা কাঠুরিয়া গ্রামের পটল ক্ষেত থেকে ১ দিনের নবজাতক বাচ্চা উদ্ধার, কৃষকের ঘরে পেল ঠাই ! কৃষকের নাতি কৃষকেরই জানা নাই ! শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টায় ব্যর্থ সেই কৃষক পরিবার ! যে নবজাতক পরিচয় বিহীন মাঠে পড়ে ছিল,আর যে কৃষক উদ্ধারের নামে মিথ্যা অভিনয় করে যাচ্ছে,তারা আসলে একই পরিবারের সদস্য !কিন্তু,মিথ্যা অভিনয় করলো কেন? অজ্ঞাত নবজকের পরিচয় কি?এখন সে কোথায়?এসব প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে বের হল আসল রহস্যময় অসামাজিক কার্যকলাপের মুল সত্য ঘটনা।
শুক্রবার(৩০শে এপ্রিল) বৃহস্পতিবার ভোরে শার্শা উপজেলার কাঠুরিয়া গ্রামের পটল ক্ষেতের আইলের উপর থেকে বস্তাবন্দী অজ্ঞাত নবজাতক শিশুটি উদ্ধার করেন,ঐ গ্রামের বজলুর রহমান নামের এক কৃষক।
এমন একটা ঘটনা ঘটতেই এলাকাজুড়ে হইচই শুরু হয়।নবজাতক শিশু ছেলেটি নেওয়ার জন্য চারিদিক থেকে লোকজন মরিয়া হয়ে উঠে।কিন্ত,বজলুর রহমান এই উদ্ধারের মিথ্যা নাটক টি বাচ্চাটি বেচার জন্য উদ্দেশ্যে করেনি।সে শুধু শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে সে কি জানতো ! তখনই বের হয়ে এলো নবজাতক শিশুটি কার !
কৃষক বজলুর রহমানের ভাই ফজলুর রহমানের পরিত্যক্তা কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সদ্য প্রসব করা নবজাতকটি আসলে তাদের পরিবারেরই সদস্য! ভাতিজার অবৈধ সন্তানকে নিজের করার জন্য এ অভিনয়।
মুল ঘটনা হলো,সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার শ্রীরামকাটি কুলি গ্রামের সাকিল হোসেন বকুল নামে এক কুল ব্যবসায়ী ও নাজমা খাতুনের অবৈধ সম্পর্কের ফসল এই নবজাতক বাচ্চাটি।
নবজাতক বাচ্চাটি যে নাজমা খাতুনের,এটা তার পরিবারের লোকজন অস্বীকার করলেও সাংবাদিকদের কাছে নাজমা খাতুন সত্যটি স্বীকার করেছে।সে তার বড় চাচি বজলুর স্ত্রীর কথা অনুযায়ী তাতে রাজি হয়।কারন, নিঃসন্তান বজলুর স্ত্রীর একটা সন্তানের প্রয়োজন ছিলো। যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত ঘটনা।
তারা সমাজের মানুষকে মিথ্যা অভিনয় করে নিজেদের বাচ্চা নিজেদের করার জন্য এত লোক দেখানো নাটক করলো।বাচ্চা তাদের বাড়িতেই থাকবে কিন্তু সবাই জানবে বাচ্চা তারা মাঠে কুড়িয়ে পেয়েছে।কিন্তু সত্য কি চাপা থাকে?পরিচয় দেওয়ার মালিক আল্লাহ!
এখন এই ঘটনা নিয়ে এলাকা সরগম,বাচ্চাটার কি হবে?তার কি পরিচয় হবে?কি ভাবে হবে সমাধান!