মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোরের মণিরামপুরে তিন সন্তানের জননী এক প্রবাসীর স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। (মঙ্গলবার ৫ই ফেব্রুয়ারি)দুপুর ১২টা থেকে রাশেদা খাতুন লিপি প্রেমিক ফারুক হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।ফারুক তার কথিত দ্বিতীয় স্বামী।গত ২৬ জানুয়ারী তাদের বিয়ে হয়।
এদিকে লিপি খাতুনকে দেখে শশুর বাড়ির লোকজন ঘর তালাবদ্ধ করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।তারও আগে বাড়ি ছেড়েছেন কথিত স্বামী ফারুক।
স্বামী রফিজুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় থাকার সুবাদে গত দুই বছর ধরে ফারুকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর ফারুকের সাথে ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে পাঁচ লাখ টাকাও দিয়েছেন লিপি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হইচই পড়ে গেছে।ফারুক মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ত্রিপুরাপুর গ্রামের আব্দুল গনি খাঁর ছেলে।সম্প্রতি তিনি লেখাপড়া শেষ করেছেন।আর লিপি খাতুনের বড় ছেলে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।ছোট দুই মেয়ের বয়স ১৩ ও ৯ বছর।
সরেজমিনে ত্রিপুরাপুরে ফারুক হোসেনের বাড়িতে গেলে লিপি খাতুন বলেন,২০১৩ সালে স্বামী রফিজুল মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর ফারুকের সাথে পরিচয়। ফারুখ বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।গত ২৩ তারিখ রাতে স্বামী রফিজুলের চালুয়াহাটির হায়াৎপুরের বাড়িতে ফারুকের সাথে আমাকে একসাথে ধরে ফেলেন বাড়ির লোকজন। বিষয়টি রফিজুল জানতে পারলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।এরপর আমি ফারুকের বাড়ি এসে উঠলে গত ২৬ জানুয়ারী কেশবপুরে ফারুকের এক আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে আমাকে বিয়ে করে সে।বিয়ের দুই তিনদিন পর আমাকে বাপের বাড়ি হায়াৎপুরে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।এরপর থেকে মোবাইল বন্ধ রেখে ফারুক পালিয়ে যান। বাপের বাড়ি ঠাঁই না হওয়ায় স্বীকৃতির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে ফারুকের বাড়িতে আসি।আমাকে দেখে ফারুকের বাবা আব্দুল গনি খাঁ ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন। লিপি দাবি করেন,ফারুক কোন এক ডিপার্টমেন্টে উপ-সহকারী পদে চাকরি নেবে বলে একসাথে তার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা নিয়েছে।এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তাকে আরও তিন লাখের বেশি টাকা দিয়েছেন তিনি।
স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ফারুকের বাড়িতে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন সাংবাদিকদের ।বাড়িতে কাউকে না পাওয়ায় ও ফারুক হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।এদিকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আশরাফুল ইসলাম লিপিকে উদ্ধার করে থানায় এনেছেন।এসআই আশরাফুল আলম লিপিকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন,বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ও থানায় একাধিকবার শালিস হয়েছে।ওই নারী বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
স্থানীয় কয়েক যুবক ফারুকের পরিবারের কাছে টাকা চেয়েছে। টাকা না পেয়ে তারা লিপিকে ফারুকের বাড়িতে তুলে দিয়েছে বলে জানান এসআই আশরাফুল।