মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোর বেনাপোল বৃহত্তম স্থলবন্দরের ৪০ নম্বর শেড ইয়ার্ডের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার(১৮ই ফেব্রুয়ারি)দুপুরে বেনাপোল স্থলবন্দর নিরাপত্তা রক্ষী আনসার ও বেনাপোল পোর্টের হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।এতে আনসারদের রাইফেলের আঘাতে ৫ জন লেবার শ্রমিক আহত হয়। এদের মধ্য বাদল (৩৫)নামে ১ জন শ্রমিককে আশংকাজনক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এতে লেবার শ্রমিকেরা আনসার ক্যাম্পে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এই সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানিকৃত মালামাল লোড-আনলোড দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল৷লেবার শ্রমিকদের আরেকটি অংশ যশোর-বেনাপোল সড়ক অবরোধ করে রাখে,পরে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় ৷ এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে আনসার ক্যাম্পের আশপাশে।বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক মামুন তালুকদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে লেবার শ্রমিকেরা আনসার সদস্যের প্রধান এসএম সাকিবুজ্জামান শাকিব পিসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান ৷ বেনাপোল আনসার প্লাটুন প্রধান কে প্রত্যাহারের আশ্বাসের ভিত্তিতে লেবার শ্রমিকরা কাজে ফিরে যান ৷
৮৯১ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান খলিল বলেন,দুপুরে লাঞ্চ করার সময় হঠাৎ আনসার সদস্যরা এসে আমার এক সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করলে আনসারের পিসি আমার শ্রমিক সদস্য বাদলের মাথায় রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করেন ৷তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ শ্রমিকের উপর হামলার আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি৷আনসারের পিসির বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে৷ বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান বলেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আনসার এবং লেবারদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।. একপর্যায়ে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে রাখে৷ বিষয়টি আমরা অবগত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে শ্রমিকদের সাথে কথা বলি এবং সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে এরকম আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিকেরা রাস্তা অবরোধ তুলে নেন। এখন পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।