মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামে সুমাইয়া খাতুন নীলুফা(১৭)নামের দুই মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। (মঙ্গলবার ১১ই জুন)দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ সময় নীলুফার লাশের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। নিহত নীলুফা যশোর বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।নিহত নীলুফার খালা তাসলিমা বেগম জানান,মঙ্গলবার সকালে ঘরের মধ্যে নীলুফাকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।এরপর পুলিশে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।তিনি আরো বলেন, পাঁচবাড়িয়া এলাকার রায়হান নামে এক ছেলের সঙ্গে নীলুফার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।সম্প্রতি মেয়েটি তাকে বিয়ের কথা বললে সে প্রত্যাখ্যান করে।সে কারণে নীলুফা অত্মহত্যা করতে পারে।মৃত্যুর আগে নীলুফা একটি চিঠি লিখে গেছে। চিঠিতে সে বলেছে,সত্যি বলছি,’আমি ওকে ছাড়া বাচবো না’। তাই সবাইকে ছেড়ে যাচ্ছি।আম্মু আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি।আমার মৃত্যুর একমাত্র কারণ হলো রায়হান।
যশোর উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ফারুক হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে নীলুফারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।মেয়েটি অন্তঃস্বত্ত্বা ছিল কি না- তা ডাক্তাররাই বলতেই পারবেন।এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। (মামলা নম্বর-১০৬/১১.০৬.১৯)। উল্লেখ্য,নীলুফার বয়স যখন ৬ মাসের মতো,তখন তার বাবা নূর আলমের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় মা নূরজাহানের।এরপর তিনি রাজু নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। এই সংসারে থেকেই নীলুফা লেখাপড়া করতো।