মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-ঐতিহ্যের স্মারক যশোর জেলা পরিষদ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে যশোরের ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটি।৩০শে জানুয়ারি বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় মন্ত্রী রবাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
স্মারকলিপিতে তারা বলেন, গৌরবময় ঐতিহ্যের স্মৃতির স্মারক যশোর জেলা পরিষদ ভবন। যশোরে যে কয়টি পুরনো ভবন ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে মাথা উঁচু করে আছে তার মধ্যে জেলা পরিষদ ভবন অন্যতম।১৯১৩ সালে ভবনটি নির্মিত হয়।
কিন্তু জেলা পরিষদ গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এক সভায় ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ভবনটি ভেঙে বহুতল নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।যশোরের ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির পক্ষে থেকে এ প্রতিবাদে মানবন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
কমিটির নেতারা অবিলম্বে জেলা পরিষদ ভবন ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।তারা ভবনটি মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সংস্কারের দাবি জানান।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন ঐতিহ্য রক্ষা কমিটির আহবায়ক রুকুনউদ্দৌলাহ,যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি দৈনিক কল্যাণ সম্পাদক একরাম উদ দ্দৌলা, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ইকবাল কবির জাহিদ,চাঁদের হাটের ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, উদীচীর সাজ্জাদুর রহমান খান, আইডিইবির বীথিকা সরকার, ডিকেআইবির রফিকুল ইসলাম, আইডিইবির নূরুল ইসলাম, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, জনউদ্যোগের প্রকৌশলী নাজির আহমেদ,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নেতা হারুন অর রশিদ, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার রায়,সচেতন নাগরিক কমিটি যশোরের সভাপতি সুকুমার দাস,জেইউজে সভাপতি সাজেদ রহমান,সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন,ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক তসলিমুর রহমান,পূজা উদযাপন পরিষদের যোগেশ চন্দ্র দত্ত, আইডিইবির শহিদুল হক বাদল, লাইট হাউজের রফিকুল হক লেনিন,জাতীয় পার্টির মাহবুব আলম বাচ্চু,ওয়ার্কার্স পার্টির জিল্লু রহমান ভিটু,বাসদের হাসিনুর রহমান প্রমুখ।এভবনটি রক্ষায় যশোরের ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটি গত শনিবার মানববন্ধনও করেন।