মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-যশোরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দেবাশিষ মিশ্র জয়ের বিরুদ্ধে যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার খবরটি বুধবার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
সূত্র জানায়,উপজেলার পদ্মবিল দখল নিয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিষ মিশ্র জয়কে অভিযুক্ত করে ১০০ জনের নামে মামলাটি করেন মুক্তদাহ গ্রামের মৃত গোরাই মন্ডলের ছেলে আলী হোসেন। যাহার মামলা নং সি আর ২১/১৯। ১৪৩/৪৪৭/৩৭৯/৫০৬(খ)১০৯ দ- বিধির ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলায় ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও একই এলাকার রতন কুমার মিশ্রের ছেলে রানা মিশ্র,কালীপদ মিশ্রের ছেলে রতন কুমার মিশ্র ও গণেশ চন্দ্র মিশ্র,পাঁচনামনা গ্রামের ফতুল্লাহের ছেলে নূর মোহাম্মদ, বিশ্বাসপাড়া আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাত ১শ জনকে আসামি করা হয়েছে।আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চৌগাছা থানার ওসি তদন্তকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে,বাদী আলী হোসেন ২০০০ সাল হইতে বাংলাদেশ সরকারের নিকট হইতে পাতিবিলা মৌজায় ৯.৬ একর জলাকারের পদ্মবিলা নামক বিল লিজ নিয়ে মাছ চাষা করে আসছিলেন।কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট মামলার প্রধান আসামি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিষ মিশ্র জয়সহ উল্লেখিত আসামিরা জোর পূর্বক আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুট করে জলাকার দখল করে নেয়।এতে বাধা দিলে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র,রামদা, গাছিদা,লোহার রড দিয়ে তাড়া করে।প্রাণ ভয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে রক্ষা পাই। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় সে সময়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেনি।দখলদাররা এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিষ মিশ্র জয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওই বিল বাদী আলী হোসেনের এজাহারকৃত সম্পত্তি নয়।এটি শরিফুল নামের একজন ব্যক্তির এজাহার সম্পত্তি।তার সাথে যৌথ ভাবে আমার গ্রামের লোকজন মাছ চাষ করে আসছে। আমি নিজে মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত নই।সামনে উপজেলা নির্বাচন।আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই একটি মহল মিথ্যা মামলাটি করেছে।যার সাথে প্রকৃত ঘটনার কোনো মিল নেই।