মোঃলোকমান হোসেন,যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নূর উন নবীর কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (০৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে রুপদিয়া বাজারে এই হামলা করা হয়। হামলায় কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন যুব দলের সহ সভাপতি মশিয়ার রহমান রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও নূর উন নবীর প্রচার বহরের ৩/৪টি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনার সময় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুর উন নবী সেখান উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি হামলা থেকে রেহায় পান। তবে তার ছেলে খুরশিদ আলমকে হামলাকারিরা মারধর করে। পরে পুলিশ প্রহরায় প্রাথী ও তার কর্মী সমর্থকরা শহরে ফিরে আসেন।
ঘটনার সময় উপস্থিত বিএনপি ও তার অংগ সংঙ্গঠনের নেতাকর্মীরা জানান, নির্বাচনী প্রচারের জন্য সকাল ১০ টার দিকে বিএনপি প্রার্থী নূর উন নবী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রুপদিয়া বজারে যান। তারা যখন স্থানীয় একটি হোটেলে নাস্তা করছিলেন, তখন মুখোশ ও হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাত সন্ত্রীরা বিএনপি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর অতর্কিতে হামলা করে।
হামলায় কচুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন যুব দলের সহ সভাপতি মশিয়ার রহমান রক্তাক্ত জখম হন। তাদের হামলায় আরো ৪/৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মশিয়ার রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলাকারিরা প্রার্থীর প্রচার কাজে নিয়োজিত ৩/৪টি যানবাহনও ভাংচুর করে। পরে তারা পুলিশ প্রহরায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করে শহরে ফিরে আসেন এবং প্রেসক্লাব সংবাদ সম্মেলন করেন।প্রার্থী নূর উন নবী অভিযোগ করেন, তিনি যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে না পারেন সে জন্যই এই হামলা করা হয়েছে। তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছেন।
হামলার জন্য তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের দায়ী করে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এই ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ’
তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভুমিকা পালনের আহবান জানান।