বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের পদচারণায় মুখর যশোরের কেশবপুর উপজেলা। তবে দিনদিন এই ঐতিহ্যবাহী হনুমানের সংখ্যা কমছে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলা বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের জন্য দেশের মানচিত্রে একটি সুপরিচিত জনপদ হিসাবে গড়ে উঠেছে। কবে থেকে এ এলাকায় হনুমানের আনাগোনা তার নির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, ৩’শ বছর আগে এদের আবির্ভাব ঘটে কেশবপুরে।
হনুমানগুলো ১২ থেকে ১৫টি দলে বিভক্ত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিচরণ করে। ২০ থেকে ২৫টি হনুমানের প্রতিটি দলেই নেতৃত্ব দেয় একটি করে পুরুষ হনুমান। খাবারের সন্ধানে গাছের ফল ও ফসলের ক্ষতি করলেও উপজেলার ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে কালোমুখো হনুমান সংরক্ষণের দাবি এলাবাসীর।
কেশবপুর উপজেলার হনুমান সংরক্ষণের জন্য প্রতিদিন সরকারিভাবে খাবার সরবারহ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানান উপজেলা বন কর্মকর্তা।
কেশবপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে হনুমানের খাদ্য উপযোগী যে গাছগুলো আছে, সেগুলো বেশি করে লাগানো যেতো। বসতবাড়ি, কিংবা স্কুল কলেজ-রাস্তার পাশে গাছগুলো লাগালে হনুমান সংরক্ষণের করা যেত।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ন্যাচারলি এই খাবারটা তৈরি একটা ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা আমরা সামাজিক বনানয়নের আওতায় করতে পারি। সবপরি যেটা করা যেতে পারে। এবং হনুমান কেয়ার সেন্টার হতে পারে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় হনুমানের সংখ্যা এক সময় হাজারের বেশি থাকলেও বর্তমানে তা নেমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩’শোতে।