মোঃলোকমান হোসেন,যশোর জেলা প্রতিনিধি:-বেনাপোল কাস্টম হাউজের বর্তমান দায়িত্বে থাকা কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী পেশাগত জীবনে লোভলালসার ঊর্ধ্বে থেকে যিনি বারবার দেশ ও জাতির পক্ষে কাজ করে গেছেন তাকে পড়তে হয় দেশবিরোধী শক্তির রোষানলে।কিছুদিন আগেবেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তা বেলাল হোসাইন চৌধুরী এশিয়ার বৃহত্তম আড়াই মেট্রিকটন (সাড়ে ১২ হাজার কেজি) ভায়াগ্রা চালান আটকে দিয়ে ভায়াগ্রা গডফাদারদের রোষানলে পড়েছেন।ভায়াগ্রা গডফাদাররা মনের মাধুরী সাজিয়ে তাদের ইচ্ছামতো তথ্য দিয়ে দেশের কিছু পত্রপত্রিকায় অপপ্রচার চালাচ্ছে।গডফাদার সংশ্লিষ্ট কতিপয় কিছু পত্রপত্রিকায় গডফাদারদের এতই নিয়ন্ত্রণে যে প্রকাশিত সংবাদে বেলাল হোসাইন চৌধুরীর জন্মস্থান পাল্টে দিচ্ছে।অলৌকিক সন্তানও সৃষ্টি করছে।প্রকাশিত সংবাদে বেলাল হোসাইন চৌধুরীকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির উল্লেখ করলেও প্রকৃতপক্ষে বেলাল হোসাইন চৌধুরীর বাড়ি বেগমগঞ্জে শরীফপুরে।প্রকাশিত সংবাদপত্রে অলৌকিকভাবে বেলাল হোসাইন চৌধুরীর মেয়ে আবিস্কার করা হয়েছে।উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল হোসাইন চৌধুরীর ছেলে-মেয়ে কানাডায় পড়াশুনা করছেন কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বেলাল হোসাইন চৌধুরীর কোন মেয়েই নেই তার দুই ছেলে ঢাকার স্কুলে পড়ছেন।তার বড় ছেলে সানিডেল স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র এবং ছোট ছেলে ঢাকা মোহাম্মদপুরের সামারফিল্ড স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।কিন্তু প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল হোসাইন চৌধুরীর শ্যালকের নামে সম্পদ রয়েছে কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে তার কোন শ্যালক নাই।প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বেলাল হোসাইন চৌধুরী একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক।কিন্তু সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে যে,বেলাল হোসাইন চৌধুরী যে ফ্ল্যাটে থাকেন তা তার স্ত্রীর নামে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ক্রয় করা।এই লোনটি এখনো বিদ্যমান।আরো জানা গেছে,বেলাল হোসাইন চৌধুরীর কোন ভাই-ই গার্মেন্টস ব্যবসা কিংবা চাকরিতে জড়িত নয়।গত ৮ই আগস্ট দৈনিক প্রথম আলোসহ দেশের বিভিন্ন দৈনিকে মিথ্যা ঘোষণায় বেনাপোল দিয়ে ভায়াগ্রা আমদানী ১২ কোটি টাকা মূল্যের ভায়াগ্রা চালান আটক এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়।এ আটকের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিশ্বব্যাংক ঘোষিত সেরা কামস্টস কর্মকর্তা বেলাল হোসাইন চৌধুরী।এশিয়ার সর্ববৃহৎ ভায়াগ্রা চালান আটকের পর সরকার প্রশাসনের তোলপাড় শুরু হয়।শুরু হয় আন্তঃদেশীয় তদবীর।কোটি কোটি টাকার লোভ লালসা কোন কিছুর কাছেই হার মানেননি এই দেশপ্রেমিক বেলাল হোসাইন চৌধুরী।দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুঁকিরমুখে না ফেলে দেশ ও মাতৃকার টানে বেলাল হোসাইন চৌধুরী ভায়াগ্রা গডফাদারদের ছাড় দেননি।এ বিশাল পরিমাণ ভায়াগ্রা চালান আটকের পর ভায়াগ্রার গডফাদাররা বেলাল হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকেন।৯ আগস্ট দেশের একটি দৈনিকে কাস্টমস কর্মকর্তা বেলালের অটল সম্পদ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।এই সংবাদ প্রসঙ্গে বেলাল চৌধুরী এই প্রতিবেদকে বলেন,সংবাদটি কেন ৮ তারিখের পূর্বে প্রকাশিত হয়নি? ভায়াগ্রা চালান আটকের পর তারা জানলেন আমার অটল সম্পদ। পত্রিকা বা সংবাদপত্র নিয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই।প্রকাশিত সংবাদে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা।সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সংবাদের একভাগও প্রমাণ করতে পারবেন না।তিনি বলেন,খুব স্বল্প সময়ে এনবিআরের আওতাধীন কমিশনারদের পদোন্নতি এবং প্রমোশনের সম্ভাবনা রয়েছে। যেনতেন অভিযোগে পদোন্নতি বা প্রমোশন ঠেকাতে অশুভ শক্তি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত বলে আমি মনে করি।আমি দূর্নীতি করি না।কোন প্রকার অপপ্রচার হুমকি ধামকি আমাকে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে পারবেন না।প্রকাশিত সংবাদে দুদকের তদন্ত প্রসঙ্গে বেলাল হোসাইন চৌধুরী উল্লেখ করেন আমার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ নতুন নয়।আমি গডফাদারদের ইচ্ছায় না চলাই তারা বারবার আমাকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে।সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ,দুদকে অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট।এই কুচক্রী মহলের অভিযোগে দীর্ঘ তদন্ত সাপেক্ষে দুদক তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে ২০০৯ সালে আমাকে সম্পদ বিবরণী জারি করে সকল সম্পদ যাচাই-বাছাই করে বেনামী অভিযোগ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে।তখনও প্রমাণিত হয়েছে আমার আয় বর্হিভূত কোন সম্পদ নাই।এই দেশপ্রেমিক কাস্টমস কর্মকর্তা বেলাল হোসাইন চৌধুরী সর্বশেষে বলেন,যতদিন বাঁচবো দেশ মাটি ও মানুষের পক্ষে কাজ করে যাবো।কোন দেশবিরোধী কুচক্রীমহল বা গডফাদাররা আমাকে রুখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।