মোঃ সদরুল কাদির (শাওন)::
ম্যাগি নিয়ে নতুন করে বিপাকে প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতীয় নেসলে। বৃহস্পতিবার নেসলের বিরুদ্ধে ভারতের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের করা একটি জরিমানা মামলার শুনানির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে নতুন করে ৩ বছরের পুরনো মামলার শুনানি শুরু হবে।
২০১৫ সালে নেসলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সংস্থাটি ম্যাগির মোড়কে তথ্য গোপন করেছে। এই নুডলসে শরীরের পক্ষে মারাত্মক ধাতু সিসা রয়েছে। অথচ, ম্যাগির মোড়কে তার উল্লেখ নেই। এই অভিযোগে নেসলে কর্তৃপক্ষকে ৬৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যায় নেসলে। শীর্ষ আদালত ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের শুনানির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হল। এর ফলে ম্যাগি নিয়ে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে নেসলেকে।
২০১৫ সালে, অভিযোগ উঠেছিল ম্যাগি তৈরির উপকরণের মধ্যে রয়েছে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক লেড বা সিসা। কিন্তু ম্যাগি কর্তৃপক্ষ তা নুডলসের মোড়কে উল্লেখ করেনি। কিন্তু ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও খাদ্যদ্রব্যে কী কী রয়েছে তা মোড়কে উল্লেখ করার কথা। ম্যাগি কর্তৃপক্ষ তা না মানায় তাদের বিরুদ্ধে ৬৪০ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।
ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর জানায়, ম্যাগিতে মাত্রাতিরিক্ত সীসা ও মনোসোডিয়াম গ্লুকামেট রয়েছে। যদিও, তা না দিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় নেসলে। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে নেসলের আইনজীবী স্বীকার করে নেন, ম্যাগিতে ক্ষতিকারক সিসা ছিল, কিন্তু তা শরীরের পক্ষে সহনশীল মাত্রায়। এই স্বীকারোক্তির পরই নতুন করে ৩ বছরের পুরনো মামলা চালু করার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এই মামলার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নতুন করে বিপাকে নেসলে। সংস্থাটিকে একদিকে যেমন মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে, অন্যদিকে তেমনই নতুন করে ম্যাগির নমুনা পরীক্ষা করা হতে পারে।
এর আগে ২০১৫ সালের ৫ জুন ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশে বাজার থেকে ম্যাগি নুডলস তুলে নিতে হয় নেসলেকে। তাঁরা ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে ২০১৫ সালে ডিসেম্বর মাসে। তারপর অবশ্য, নতুন পরীক্ষায় উতরে যায় ম্যাগি। নতুন করে, বাজারে আগের মতোই রমরমা ব্যবসা শুরু করে নেসলের এই ইনস্ট্যান্ট নুডলস।